স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন মালিতার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। গান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীরা তাদের ফেসবুক আইডিতে এই মামলার তিব্র নিন্দা জানিয়ে পোষ্ট দিচ্ছেন।
চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন মালিতা বলেন, দীর্ঘ দিন আগে গান্না ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শান্তি মার্ডার মামলায় আমাকে উদ্দ্যেশ্য প্রণদিতভাবে জড়িয়ে মামলার ৯ নম্বর আসামী করা হয়, পরে নিহতের শ্বশুর সিরাজ উদ্দীন ভুল স্বীকার করে আমার মামলা তুলে নিতে রাজি হন এবং বলেন ভুল করে আমার নাম চলে এসেছে তারা আমাকে ফাসাতে চাননি। পরে জানতে পারি রিমান্ডে খুনিদের মুখ দিয়েও নাকি আমার নাম বলানো হয়েছিলো আমাকে ফাসানোর জন্য। এই মিমাংসার পরেও নির্বাচন সামনে হওয়ায় প্রায় ১০ বছর আগের সেই মিথ্যা মামলা আবার চালু করে আমার ইমেজ নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাস করেনা, তারা বিশ্বাস করে সন্ত্রাস, দূর্ণীতি আর খুন খারাপির রাজনীতিতে যা আমি কখনই হতে দেবো না। শান্তি প্রিয় গান্নার মানুষ আমার সাথে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৭ই জুলাই সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না বাজার থেকে নিজ গ্রাম কাশিমনগর বাড়ি ফেরার পথে খালের ব্রিজের উপরে বোমা হামলায় মারাত্মক আহত হন গান্না ইউনিয়নের তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মণ্ডল শান্তি। ঘটনার ৩ দিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি বিস্ফোরক ও আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিতা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলার ৯ নং আসামি হয়ে যান চেয়ারম্যান নাসির মালিতা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের নাসির উদ্দীন মালিতা যেন নৌকা প্রতীক না পান মূলত সেজন্যই এই মিথ্যা মামলায় নতুন করে চেয়ারম্যানের নাম তুলে আনা হয়েছে, তারা আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার এই ডিজিটাল বাংলাদেশে আর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের স্থান দেবেন না গান্নার সাধারণ ভোটাররা।