স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বিষয়ে ঝিনাইদহের একজন সাংবাদিক মহেশপুরের একজন দলিল লেখকের কাছে তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে মহেশপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সীমান্তবাণী ও অনলাইন সীমান্তবাণীর অসুস্থ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে দোষী সাজিয়ে তাকে বেইজ্জতি ও হয়রানীর পায়তারা চালানো হচ্ছে।
গত ৬ এপ্রিল দুপুরে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি শেখ রুহুল আমিন মহেশপুরের দলিল লেখক ও সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের নিকট মহেশপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বিষয়ে কোন তথ্য চেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিকভাবে দলিল লেখক ও সাংবাদিক জিয়াউর রহমান সীমান্তবাণীর অসুস্থ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে বার বার ফোন করে সাংবাদিক শেখ রুহুল আমিনের নিকট রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পাঠানোর অভিযোগ উত্থাপন করে। এসময় সীমান্তবাণীর সম্পাদক বার বার তিনি শেখ রুহুল আমিনের কাছে কোন খবর পাঠাননি বললেও বার বার তাকেই দায়ী করা হয়। এসময় সীমান্তবাণীর সম্পাদক শেখ রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সীমান্তবাণীর সম্পাদককে বলেন, ‘কয়েক বছর আগে মহেশপুর দলিল লেখক সমিতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য তার কাছে রয়েছে। যে নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইদহের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট স্বপ্রেনোদিত হয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন। এবার সেই তথ্য আপডেট করে নিউজ করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত বিষয়ে আপনার সাথে কোন কথাও হয়নি। নিউজ লেন-দেন তো দুরের কথা।”
সাংবাদিক শেখ রুহুল আমিন এসংক্রান্ত বিষয়ে দলিল লেখক ও সাংবাদিক জিয়াউর রহমান ও সীমান্তবাণীর সম্পাদকের সাথে মোবাইলে কনফারেন্স করে কথা বলতে চাইলেও জিয়াউর রহমান তাতে রাজি না হয়ে সীমান্তবাণীর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে মানসিক হয়রাণী করছে।
উল্লেখ্য, সীমান্তবাণীর সম্পাদক গত ২০১৫ সালে দূর্ণীতির তথ্য উদঘাটনের সময় এক সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে প্রায় পঙ্গু অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন। তিনি একনাগাড়ে দুই মিনিটও হাটাচলা করতে পারেন না এবং দুই মিনিট কথা বললে ও টেনশন করলে প্রেসার বেড়ে অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হন।