অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত মস্কোর প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ এবং নিজ ভূখণ্ডে মিত্র ইউনিট মোতায়েনের মতো ঘটনা দেশ দুইটিকে রাশিয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
অনলাইন প্রকাশনা আনহার্ডকে দেওয়া সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, তারা জানে যে, তারা ন্যাটোর সদস্য হওয়া মাত্রই এটি রাশিয়ার প্রতি সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত দেবে।
তিনি বলেন, ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি এই অঞ্চলগুলোকে মস্কোর সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।
দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, তারা ১০ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে ভালো প্রতিবেশী হিসেবে বাস করছিল। যদি তারা হঠাৎ করে নিজেদের একটি খুব বন্ধুত্বহীন ব্লকের অংশ হিসেবে বেছে নেয়, তবে সেটি তাদের ওপর নির্ভর করে।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানিয়েছে, ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদানের সিদ্ধান্ত রাশিয়ার জন্য স্পষ্ট হুমকি। সামরিক এই জোটের সম্প্রসারণ ইউরোপ বা বিশ্বকে স্থিতিশীল করবে না।
কনফারেন্স কলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পেসকভ জানান, ন্যাটো জোটে যোগদানের জন্য ফিনল্যান্ডের নেওয়া পদক্ষেপ অনুতাপের এবং একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের কারণ।
বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, অবিলম্বে তাদের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের আবেদন করা উচিত। দেশটির এমন সিদ্ধান্ত রাশিয়ার জন্য হুমকি কিনা জানতে চাইলে পেসকভ বলেন, অবশ্যই। ন্যাটোর সম্প্রসারণ আমাদের মহাদেশকে আরও স্থিতিশীল ও সুরক্ষিত করবে না।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার আগ পর্যন্ত রাশিয়া ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থানের নীতি বজায় রেখেছিল ফিনল্যান্ড। রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এবার দেশটি ন্যাটোতে যোগদান করতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তাদের প্রতিবেশী সুইডেনও জোটটিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সুইডেনও এতদিন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিল। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের এই দুই সমৃদ্ধ দেশকে ন্যাটোর সদস্যপদ অর্জনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।