অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জার্মানি বলেছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল গত মাসে ঠিক একই ধরনের মন্তব্য করার পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার তার দেশের অবস্থান তুলে ধরলেন।
গতকাল (সোমবার) ব্রাসেলসে ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক শেষে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেন, তার দেশের বিশেষজ্ঞরা আইআরজিসি’র বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আইনগত ভিত্তি খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আইআরজিসি’কে ইইউ’র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তালিকায় স্থান দেয়ার কোনো আইনি ভিত্তি আমাদের হাতে নেই।”
ব্রাসেলসের ওই বৈঠক থেকে ইইউ বিদেশি মদদে ছড়িয়ে দেয়া সাম্প্রতিক দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ইরানের ৩২ কর্মকর্তা ও দু’টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আইআরজিসির পতাকা
আইআরজিসিকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় গতমাসে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এই বাহিনীকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ইইউর প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে।
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পরপরই আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ইইউর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ওই প্রস্তাব কার্যকর করলে তার পরিণতির জন্য ইউরোপকে দায়ী থাকতে হবে। জেনারেল সালামির হুঁশিয়ারির পর পিছু হটে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল গত ২৩ জানুয়ারি বলেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই।
Leave a Reply