অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিচালনায় প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তার শীর্ষ কমান্ডার পদে প্রতিস্থাপন করেছেন। তার এ পদক্ষেপকে সামরিক বিশৃঙ্খলা এবং যুদ্ধে রাশিয়া বিজয় অর্জন করতে না পারার আভাসে পুতিনের অস্থিরতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্লেষকরা এ কথা বলেছেন।
মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ান শীর্ষ কমান্ডারকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পুতিন সেনাবাহিনীর প্রধান স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, তার পূর্বসূরি, সের্গেই সুরোভিকিন, যিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের পর থেকে মস্কোর যুদ্ধের একজন অভিজ্ঞ। তিনি গেরাসিমভের ডেপুটি হবেন, অন্য দুই জেনারেলের সাথে কাজ করবেন।
রাশিয়ান এবং পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ সক্ষমতায় পুতিনের উত্তেজিত হওয়ার একটি চিহ্ন, তবে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর কমান্ডের ফ্রল্ট লাইনে ইউক্রেনের মুখোমুখি কঠিন প্রতিরোধ এর একটি কারণ। এর মাধ্যমে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বড় আক্রমণ শুরু হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, একজন সেনাপ্রধানকে একটি স্থল অভিযানের দায়িত্ব দেয়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক, এতে সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্র সমন্বয়, রাজনৈতিক যোগাযোগ, হুমকি মূল্যায়ন এবং লজিস্টিক সমর্থন থেকে পিছিয়ে পড়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মস্কো-ভিত্তিক একজন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এএফপি’কে বলেছেন, পুতিন যেভাবেই হোক যুদ্ধের দায়িত্ব দিয়েছেন এতে বোঝা যায় ‘বিষয়গুলো পরিকল্পনার মতো হচ্ছে না’।
গত অক্টোবরে নিযুক্ত সুরোভিকিন তার কামানো মাথা এবং আপোষহীন কঠোরতার জন্য বিখ্যাত। তিনি ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের বশ্যতা স্বীকার করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
কিন্তু সেই কৌশলে কাজ হয়নি, প্রায় ১১ মাস যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারেনি। ইউক্রেন সরকারকে দুর্বল করতে বা কিয়েভে পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ ঠেকাতে রাশিয়ার ব্যর্থতা জন্য হতাশা বেড়েছে।
Leave a Reply