অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২৯০ সংসদ সদস্যদের শপথ বৈধ বলে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
গত ২৭ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে চলে শুনানি। পরে ৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করা হয়।
সেদিন আপিল বিভাগের এক বিচারপতি অসুস্থ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ সংসদ সদস্যের বৈধতার আপিল শুনানি পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।
শুনানীতে বিএনপির নির্বাচিত এমপিদের কেনো এই মামলায় বিবাদী করা হলো না এমন প্রশ্ন রাখেন আপিল বিভাগ।
এসময় নির্বাচিত হওয়ার পর গেজেট হলে তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্যরা শপথ নিবেন এবং আগের সংসদের মেয়াদ শেষে নতুনরা সংসদে প্রবেশ করবেন এতে সংবিধান বিরোধী কিছু হয়নি বলেও মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ।
২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ সংসদ সদস্য শপথ নেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত ব্যক্তিরা সে বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর। তাই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শপথ নেওয়া হয়েছে। এমন যুক্তিতে একাদশ সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া শপথের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি রিট করেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর রিট আবেদনকারী ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন।
Leave a Reply