অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে দুর্নীতির মহোৎসবে ছেদ কেটেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কার করেছেন অথবা তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন সিনিয়র সহকারী।
কিরিলো টিমোশেঙ্কো নামে এই সহকারী দামী গাড়ি ব্যবহার সংক্রান্ত এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অবশ্য তিনি কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন। এছাড়া, উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্যাচেস্লাভ শাপোভালভ পদত্যাগ করেছেন। যে দিনিপ্রো, জাপোরিজিয়া, সুমি ও খেরসন অঞ্চলে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে সেসব অঞ্চলের গভর্নরেরাও রয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার তালিকায় এবং তারা পদত্যাগ করেছেন।
ইউক্রেনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েনকৃত সেনাদের সরবরাহ করা খাবারের দাম বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। যেসব খাবারের দাম বাড়িয়ে ধরা হয়েছে তার মধ্যে ডিম ও আলুর মতো সাধারণ খাদ্যপণ্য রয়েছে।
এদিকে, চার লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সোমবার পুলিশ ইউক্রেনের অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ভাসিল লোজিনস্কিকে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি বিদ্যুতের অভাব মেটাতে যেসব জেনারেটর কেনা হয়েছে সেখানে ঘুষ খেয়েছেন। অবশ্য, তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইউক্রেনে দুর্নীতির ইতিহাস দীর্ঘ এবং ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ইউক্রেনকে ১২২ নম্বরে স্থান দিয়েছে। যুদ্ধের সময় দেশটি পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা পাচ্ছে তার একটা বড় অংশ নয়ছয় হচ্ছে বলে অনেকের বিশ্বাস।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, একমাত্র অনুমোদিত সরকারি সফর বাদে সব সরকারি কর্মকর্তাকে ইউক্রেন ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জেলেনস্কির সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল পার্টির প্রধান ডেভিড আরাখামিয়াও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা কারাগারে যেতে পারেন।
Leave a Reply