অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে সেখানকার নিরস্ত্র নিরীহ জনগণ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে যা আন্তর্জাতিক সমস্ত আইন-কানুন ও মানবিক নীতির পরিপন্থি।
গতকল (রোববার) ইরানের মন্ত্রিসভায় দেয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট রায়িসি একথা বলেন। এসময় তিনি সেই সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কড়া সমালোচনা করেন যারা গাজার ওপর ইসরাইলের নজিরবিহীন ঘৃণ্য অপরাধের পরও নীবর রয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরাইলের অপরাধের মুখেও যারা চুপ রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই বিচার ও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইরান সবসময় সমর্থন দেবে এবং এই নীতি কখনো পরিবর্তন হবে না।
ইরানের প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেন, গাজার আবাসিক এলাকার ওপর ইসরাইলের বোমাবর্ষণ বন্ধ এবং সেখানকার লোকজনের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা না গেলে গাজাবাসীকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়া হবে। গাজার চলমান পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। গাজায় ইসরাইলের চলমান বর্বরতায় প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে গতকালই প্রেসিডেন্ট রায়িসি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে ফোনালাপে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইল তার পাশবিক হামলা অব্যাহত রাখলে যুদ্ধের পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হবে। তিনি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান অপরাধযজ্ঞকে “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বর্বরতা”র সঙ্গে তুলনা করেন।
Leave a Reply