অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আহতের সংখ্যা অনেক এবং নিহতের সংখ্যা ৪৫ জন। অল্প সময়ের ব্যবধানে চালানো হামলায় এসব মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ।
রোববার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
সাংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে এবং শনিবার (১৮ মে) কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দাবি, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের যোদ্ধারা ২৫৩ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। ইসরায়েলি এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। গাজায় ৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধে উপত্যকায় খাবার, পানি, জ্বালানি ও ওষুধের প্রচণ্ড ঘাটতিতে ভুগছে লাখ লাখ মানুষ।
Leave a Reply