অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩১ হাজার ৬৪৩ জন এবং সিরিয়ার ৪ হাজার ৫০০ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহত প্রায় লাখের কাছে পৌঁছে গেছে। শুধু তুরস্কেই ছয় হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গিয়েও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
উদ্ধার কাজে ধীরগতির ব্যাপারে তুর্কি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সির কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সীমান্ত শহর হাতায়ের মতো কিছু জায়গায় পৌঁছানো তাদের পক্ষে কঠিন ছিল। গতকাল পর্যন্ত, হাতায় বিমানবন্দর আবার ফ্লাইট চালু করেছে এবং প্রথম ফ্লাইটটি ছিল তুর্কি এয়ারলাইনস যা অভাবী লোকদের জন্য সাহায্য আনতে অবদান রাখবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে গাজিয়ানটেপের কাছে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ১২ ঘণ্টা পর ৭.৫-মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়।
Leave a Reply