অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার নানা দিক ও কারণ নিয়ে প্রথমবারের মতো রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ। গত রোববারের ওই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রায়িসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ান-সহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগন নিহত হন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত রিপোর্টে রোববারের ঘটনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং ঘটনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সোমবার তদন্তকারী দলকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের “একটি উল্লেখযোগ্য অংশ” সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এই দল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি তার পূর্ব পরিকল্পিত রুটে ওড়ার সময় বিধ্বস্ত হয়, এটি পথ থেকে বিচ্যুত হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্বত্যাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায় তবে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের কোথাও কোনো গুলির চিহ্ন নেই বা এরকম কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
সশস্ত্র বাহিনীর এই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, ইরানি ড্রোনের মাধ্যমে সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার স্থান চিহ্নিত করা হয় এবং এরপর পরপরই অনুসন্ধানী দল সেখানে পৌঁছায়।
রিপোর্ট বলছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার আগে হেলিকপ্টারের পাইলটের সাথে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের যে যোগাযোগ হয়েছে তাতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া গেলে জনগণকে তা জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছে সশস্ত্র বাহিনী।
Leave a Reply