অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বগুড়ার শাজাহানপুরে কলেজছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ ওরফে আশিক (১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাত্র ৪০০ টাকার জন্য আশিককে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পরানবাড়িয়া গ্রামের অটোরিকশাচালক মো. কাউছার (২২), একই ইউনিয়নের ঝালপাড়ার রাজমিস্ত্রি মাহমুদুল হাসান (২০) এবং রামপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি সাহান (২০)।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, কোনো এক কাজের জন্য আশিক তার বন্ধু কাউছারকে ৪০০ টাকা দেয়। কাউছার ওই টাকা আরেক বন্ধু মাহমুদুল হাসানকে দেয়। সে ওই টাকা খরচ করে ফেলে। এদিকে কাজ করে দিতে না পারায় টাকা ফেরত চায় আশিক। কিন্তু টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করলে আশিক তার এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে তাদেরকে চাপ দেয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের দুইদিন আগে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশিককে হত্যার পরিকল্পনা করে তার বন্ধুরা। একপর্যায়ে গ্রেফতার তিনজনসহ আরেক এক বন্ধু মিলে আশিককে কৌশলে ডেকে নেয়। পরে পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করে ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখে। তাদের গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে আশিক বাড়ি থেকে বের হয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে স্থানীয় শাখাটিয়া মেলায় গিয়ে নিখোঁজ হয়। রোববার বিকেলে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রামপুর জংলাপুকুর এলাকায় আব্দুস সামাদের ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আশিক ওই ইউনিয়নের পরানবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাবুলের ছেলে। সে শেরপুর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরজনকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply