23 Feb 2025, 02:27 pm

বাগেরহাটে একটি সেতুর অভাবে ৮ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুটি ইউনিয়নের ৮ গ্রামের  মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো। আরও দুই বছর আগে ভেঙে পড়া কাঠের সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোতেই চলছে পারাপার। ভোগান্তিতে পড়েছে ৮ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার  বহরবুনিয়া ও বারইখালী ইউনিয়নের সাথে উত্তর সুতালড়ী গ্রামের খালের সংযোগ সেতুটি দুই বছর আগে ভেঙে পড়ে। সরকারিভাবে ওই সেতু মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এ সাঁকো দিয়েই বারইখালী ও বহরবুনিয়া এ দুটি ইউনিয়নের উত্তর সুতালড়ি, সূর্যমূখী, পূর্ব কাটাখাল, বেতবুনিয়া, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া, নারিকেল বাড়ীয়া ও ঘষিয়াখালীর ৮ গ্রামের মানুষ। এক সেতুর  অভাবে ২৫হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এই সাঁকো পেরিয়ে প্রতিদিন ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মা-বাবা ঋণ ডিগ্রী কলেজ, ডা. হিরন্ময় কারিগরি কলেজসহ ৪টি মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হচ্ছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, ফুলহাতা বাজার, বহরবুনিয়া বাজার, ঘষিয়াখালী বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিদিন শত শত লোক এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে।

তাছাড়া সড়ক পথে বহরবুনিয়ার শেষ প্রান্ত ঘষিয়াখালী হয়ে এ পথ দিয়েই প্রায় ১৩ কিলোমিটার দুরুত্ব পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে আসতে হয়। বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিতে দুর্ভোগ পোহাতে  হয় বৃদ্ধ, শিশু শিক্ষার্থীসহ অনেককে। অনেক ছোট ছোট  দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা নেছার উদ্দিন বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে ছিল। একপর্যায়ে ভেঙে গেছে। যখন নড়বড়ে হচ্ছিল সেই অবস্থা থেকেই শুনছি নতুন একটি ব্রিজ হবে। সরকারি অফিসাররা অনেকবার এসেছেনও। কিন্তু সেতু ভাঙ্গার পর নতুন ব্রিজ হয়নি। গ্রামবাসী চাঁদার টাকায় এই বাঁশের সাঁকো মেরামত করেছে।

এ বিষয় বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আউয়াল খান মহারাজ বলেন, উত্তর সুতালড়ী খালের ওপরে পুলটিতে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে একবার সংস্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আর কোন মেরামত হয়নি। সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ার পর সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। ওই স্থানে ব্রিজের জন্য এলজিইডি দপ্তরে প্রস্তাবনা দেওয়া রয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ভেঙে যাওয়া কাঠে সেতুটির জায়গায় এ বছরে এডিপির বরাদ্দ থেকে নতুন পুল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *