অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের লোকসবায় ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পাশ হয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র অন্য দলগুলোও এ বিলের বিরোধিতা করে। বিরোধী সাংসদরা বলছেন, বিলটি ভারতের সংবিধানের মূল কাঠামোতেই আঘাত হানবে। অভিযোগ, মোদি সরকার এর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে।
ভারতের লোকসভায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পেশ হল ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত দু’টি বিল। দেশটির কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল এটি পেশ করেন সংসদের নিম্নকক্ষে। বিল পেশ হতেই বিরোধীদের হট্টগোল শুরু হয়। তারা তুমুল আপত্তি জানান এ বিলে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন’র।
কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র অন্য দলগুলোও এ বিলের বিরোধিতা করে। বিরোধী সাংসদরা বলছেন, বিলটি ভারতের সংবিধানের মূল কাঠামোতেই আঘাত হানবে। অভিযোগ, মোদি সরকার এর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে।
gঅনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ভারতে ‘এক দেশ-এক ভোট’ বিল আসছে সোমবারভারতে ‘এক দেশ-এক ভোট’ বিল আসছে সোমবার
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোই আঘাত করবে। বিজেপি কী ভাবে এই বিল লোকসভায় পাশ করাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডিএমকে।
সাংসদ টিআর বালু প্রশ্ন রেখে বলেন, এই সরকারের যখন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই নেই, তারা কিসের ভরসায় এই বিল পেশ করছে সংসদে?
আপত্তি জানিয়েছেন মিম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও।
‘এক দেশ-এক ভোট’ নিয়ে আগে থেকেই প্রতিবাদে মুখর ছিল কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলো। তাদের যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সংসদ সদস্য এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়তে পারে।
ভারতের একেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয় একেক সময়। একসঙ্গে ভোট করাতে হলে কোনো কোনো রাজ্যের ভোট এগিয়ে আনতে হবে। কোনো কোনো রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যা পদ্ধতিগতভাবে চরম সমস্যার।
Leave a Reply