অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম শহরের গুডস হিলের বাড়ি ঘেরাও করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাও করে। এর আগে চট্টগ্রামে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সংগঠনটি।
কর্মসূচি পালনকারীরা গুডস হিলের প্রবেশপথে দেওয়ালে লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন কেন্দ্র-রাজাকারের বাড়ি। এসময় তারা সেখানে প্রতীকী তালাও ঝুলিয়ে দেন। উড়িয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা।
‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় মৌলবাদীর ঠাঁই নাই’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও করেন ঘেরাওকারীরা। কর্মসূচি সফল করতে আসা নেতাকর্মীরা, দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
এদিকে কর্মসূচি সফল করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জামাল খান এলাকার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে একটি মশাল মিছিল বের করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বড় নেতা হিসেবে নয়। আজকে এসেছি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হিসেবে। আপনারা সবাই সঙ্গে থাকলে আমাদের পরাজিত করার শক্তি কারও নেই। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই, ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর একা বাড়ি যেতে পারবেন না। প্রতিটি শহীদের পরিবার থেকে ক্ষমা চেয়ে যেতে বাধ্য করা হবে। যাওয়ার আগে আমার বাবার স্লোগান আপনাদের বলে যেতে চাই। এরপর হুম্মাম কাদের জামায়াতে ইসলামীর স্লোগান তিন বার ‘নারায়ে তাকবির’ বললে প্রতিবারই ‘আল্লাহ আকবর’ বলে পাল্টা সাড়া দেন মাঠে উপস্থিত বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক রাসেল, সংগঠনের মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সজিব প্রমুখ।
Leave a Reply