অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়া এবং বেলারুশ সোমবার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। মিত্র দেশ দুইটির এমন কার্যক্রম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে পশ্চিমে এবং ইউক্রেনে। তাদের শঙ্কা, আবার নতুন করে স্থল আক্রমণ করবে মস্কো। খবর রয়টার্সের।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া তার প্রতিবেশী বেলারুশকে স্প্রিংবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করেছে। দুই জোট ১৬ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ পর্যন্ত বেলারুশের সমস্ত সামরিক বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে বিমানবাহিনীর মহড়া চালাবে এবং সোমবার একটি ‘যান্ত্রিক ব্রিগেড মহকুমা’ জড়িত যৌথ সেনা মহড়া শুরু করা হয়েছে বলে বেলারুশীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মিনস্ক বলেছে যে বিমান মহড়া প্রতিরক্ষামূলক এবং যুদ্ধ করার জন্য নয়। রবিবার বেলারুশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি টেলিগ্রামের পোস্ট অনুসারে বেলারুশিয়ান নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম ডেপুটি স্টেট সেক্রেটারি পাভেল মুরাভেইকো বলেছেন, ‘আমরা সংযম এবং ধৈর্য বজায় রাখছি, আমাদের গানপাউডার শুকিয়ে রাখছি। ইউক্রেনের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ সীমান্তের পরিস্থিতি ‘খুব শান্ত নয়’ এবং ইউক্রেন বেলারুশকে ‘উস্কানি দিচ্ছে’। আমরা ইউক্রেনের পক্ষ থেকে যে কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রস্তুত।’
তবে ইউক্রেনের সংঘাতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোকে চাপ দেওয়ার বিষয়টি মস্কো অস্বীকার করছে।
ইউক্রেন ক্রমাগত বেলারুশ থেকে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে দেশটিকে অবশ্যই বেলারুশের সঙ্গে তার সীমান্তে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বেলারুশ তার নিজস্ব এবং রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে অসংখ্য সামরিক মহড়া চালিয়েছে। মস্কোর সাথে একত্রে মিনস্কও অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে মহড়া জোরদার করছে।
অনানুষ্ঠানিক টেলিগ্রাম মিলিটারি মনিটরিং চ্যানেলগুলি বছরের শুরু থেকে বেলারুশে আসা যোদ্ধা, হেলিকপ্টার এবং সামরিক পরিবহন বিমানের একটি সিরিজ রিপোর্ট করছে। তবে রয়টার্স প্রতিবেদনগুলি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুধু বলেছে যে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর ‘ইউনিট’ বেলারুশে পৌঁছেছে।
Leave a Reply