অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মার্কিন আণবিক বোমা হামলায় নিহত হিরোশিমা-নাগাসাকির লাখ লাখ মানুষের স্মৃতিকে উপেক্ষা করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বাইডেনের সঙ্গে জাপানি প্রধানমন্ত্রী কিশিদা যৌথভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি দেয়ার পর এই মন্তব্য করলেন দিমিত্রি মেদভেদেভ।
বাইডেন এবং কিশিদা বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে সেটি হবে মানবতা-বিরোধী কাজ এবং অগ্রহণযোগ্য। শুক্রবার দুই নেতা ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠকের পর এই বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে মেদভেদেভ টেলিগ্রাম পোস্টে কিশিদার এই বিবৃতিকে ‘জঘন্য দাসত্ব’ বলে উল্লেখ করেন। মেদভেদেভ বলেন, “আমি আমাদের দেশের পরমাণু পরিকল্পনা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করব না।”
রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বারবার বলে আসছেন, ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। গত অক্টোবর মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার রাজনৈতিক বা সামরিক কোনো যুক্তি নেই।
তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সামরিক ডকট্রিন অনুসারে, যদি কেউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহার করে অথবা যখন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সামগ্রিকভাবে হুমকির মুখে পড়বে তখনই শুধুমাত্র রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে।
জাপানি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে মেদভেদেভ আরো বলেন, উন্মত্ত আনুগত্য দেখিয়ে কিশিদা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাগলের প্রলাপ বকছেন যার মাধ্যমে তিনি হিরোশিমা নাগাসাকিতে মার্কিন আণবিক বোমার আগুনে পুড়ে যাওয়া লাখ লাখ মানুষের স্মৃতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
মেদভেদেভ বলেন, “আমেরিকা হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা মানবতার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং এর একমাত্র ভুক্তভোগী হচ্ছে জাপান কিন্তু কিশিদা সে কথা ভুলে গেছেন।
কিশিদার যেখানে উচিত ছিল পরমাণু হামলার জন্য বাইডেনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা, সেখানে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে আমেরিকার পক্ষে কথা বলছেন। আসলে গোলামরা কখনো সাহসী হতে পারে না।
Leave a Reply