অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত বছর (২০২২ সালে) প্রায় সোয়া ১ লাখ মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব সংস্থা সারাদেশে ২০২২ সালে এক লাখ ৩২১টি মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। একই সময়ে চার কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এছাড়াও এক লাখ ১৫ হাজার ৩৬৭ কেজি গাঁজা, ৭ লাখ ৬ হাজার ৬১ বোতল ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে মোরশেদ আলীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে অবৈধ মাদকের আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার এলাকায় মাদক (ইয়াবা) চোরাচালান রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে টেকনাফে একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ২৯ জনের বিশেষ জোন স্থাপন (টিম গঠন) করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস টাওয়ার। এছাড়া নৌপথে ইয়াবা পাচার বন্ধে টেকনাফে দুইটি স্পিডবোটের মাধ্যমে টহল জোরদার করা হয়ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী মাদক চোরাকারবারিদের জন্য কঠোর সাজা নিশ্চিত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় অর্থ জোগানদাতা, পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদদাতাদের সংশ্লিষ্ট ধারায় নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Leave a Reply