নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ১২ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ঠিকাদার কতৃক কার্যালয় ভাঙচুর ও প্রকল্প পরিচালককে মারধরের ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের ধারা ৬৪ (৫), পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধি ১২৭(১) ক ও ১২৭(২) ঘ মতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলো। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঠিকাদার মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের মালিকানাধীন মেসার্স মাহমুদা বিল্ডার্স ও মেসার্স এস জে ট্রেডাস, সঞ্জয় ভৌমিকের মেসার্স বাংলাদেশ ট্রেডার্স, মোহাম্মদ ফেরদৌসের মেসার্স মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, সুভাষ মজুমদারের মেসার্স জয় ট্রেডার্স, মো. হাবিব উল্লা খানের মেসার্স খান করপোরেশন, মো নাজিম উদ্দীনের মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্স, মো. নাজমুল হোসেনের মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ, মো. ইউসুফের মেসার্স ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্স, আশীষ কুমার দে এবং হ্যাপী দের যৌথ মালিকানাধীন মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ, আলমগীরের মেসার্স তানজিল এন্টারপ্রাইজ।
অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, চসিকের প্রধান কার্যালযের চতুর্থ তলার কক্ষ নম্বর-৪১০-এ প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলা চালায় ঠিকাদাররা। হামলাকারীরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গোলাম ইয়াজদানীকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক ও অবকাঠামো উনয়ন প্রকল্পের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ঠিকাদারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তাই আইনি ক্ষমতাবলে ওইসব ঠিকাদারের ১২ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে প্রকল্পে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ২৯ জানুয়ারি বিকেলে চসিকের টাইগার পাস অস্থায়ী কার্যালয়ে গোলাম ইয়াজদানীর কক্ষে হামলা করেন অভিযুক্তরা। এসময় তাকেও মারধর করেন প্রভাবশালী এ ঠিকাদাররা। এ ঘটনায় রাতে নগরের খুলশী থানায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরপর ওই রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধান আসামিকেও গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার পাঁচজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
Leave a Reply