28 Feb 2025, 12:47 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই বার্তা তিনি শুরু করেছেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রশংসা দিয়ে এবং শেষ করেছেন ‘জয় বাংলা’ দিয়ে।

কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিনন্দন বার্তা আদান-প্রদান একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এই সাধারণ ঘটনাকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি দিয়ে অন্য একটি মাত্রা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত দুর্লভ ঘটনা। আমার স্মরণে নেই মার্কিন এমন কোনও চিঠি বা বার্তা যেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি যুক্ত করা। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয়।”

তিনি বলেন, “আমার ধারণা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে তারা বাংলাদেশকে বলতে চাইছে যে ঢাকার সঙ্গে রয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, এটি আউট অব দি বক্স ডিপ্লোমেসি। মার্কিন ইঙ্গিত দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতিধারা আনতে পারে।”

ওয়াশিংটনে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন এমন একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিক বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে মার্কিন সরকার সমর্থন করেনি। আজকে ‘জয় বাংলা’ বলে হয়তো ওই সময় তারা ভুল করেছে – সেই ইঙ্গিত দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।” স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের অভিনন্দন বার্তা

তবে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ক্ষমতায় ছিল রিপাবলিকানরা। কিন্তু ডেমোক্র্যাট এবং সাধারণ মার্কিন জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। জো বাইডেন একজন ডেমোক্র্যাট এবং ১৯৭১ সালে তিনি একজন তরুণ ছিলেন।”

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বোঝাতে চাইছে যে মার্কিনিরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। অন্য কোনও শক্তির কথায় প্ররোচিত না হয়ে মার্কিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার বার্তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’

জো বাইডেন চিঠির শুরুতে বলেছেন—১৯৭১ সালে বাংলাদেশিরা মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এবং সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষার জন্য বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে শান্তিরক্ষী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন বাইডেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ; বললেন ‘জয় বাংলা’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সরকারি চিকিৎসকরা আগামী ৩০ মার্চ  থেকে অফিস সময়ের পর বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করব।’
তিনি জানান, বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা, বাকিটা অন্যরা। সরকারও একটি অংশ পাবে।
সম্মানি নির্ধারণ বিষয়ে তিনি বলেন, চেম্বার ডিউটিতে প্রাথমিকভাবে একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের (অধ্যাপক) ফি ৫০০ টাকা, তবে তিনি পাবেন ৪০০ টাকা। সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা, তিনি পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ টাকা। এমবিবিএস চিকিৎসকের ফি ২০০ টাকা তিনি পাবেন ১৫০ টাকা। আর এসব চিকিৎসকদের যারা সহযোগিতা করবেন, তারা পাবেন ৫০ টাকা করে, শুধুমাত্র এমবিবিএস চিকিৎসকের সহকারিরা পাবেন ২৫ টাকা করে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দু-তিন মাস ধরে ইনস্টিটিউশন প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল: এই টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক। কিন্তু  ডেঙ্গু ও করোনার কারণে তা আমরা শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা আস্তে আস্তে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করব।

৩০ মার্চ থেকে হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বিচার যাতে না হয় সে কারণেই স্বাধীনতাবিরোধীরা ইনডেমনিটি আইন পাস করেছিল। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হত্যার পেছনে দেশীয় ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সরব ছিল। শুধু তাই নয়, ঘাতকরা পচাঁত্তরের পর টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ নিষেধ করে দিয়েছিল। সে সময় এক দুর্বিষহ সময় কাটিয়েছেন এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবনের সর্বস্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে নির্মাণের জন্য মনোনিবেশ করলেন, তখনি ঘাতকরা তাকে কেড়ে নিল।

তিনি বলেন, আজ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, উৎপাদন বেড়েছে। আজ আমরা পাকিস্তান থেকে অনেক সূচকে এগিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশ আজ অপার সম্ভাবনার এক দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা দেশপ্রেম এবং জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে সামনে এগোচ্ছি বলেই এসব কিছু সম্ভব হয়েছে।

আলোচনা সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং মো. মাহবুব হোসেন।

পঁচাত্তরের পর ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ বন্ধ করে দিয়েছিল : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে উল্লেখ করে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা যখনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি তখনি আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী সরকারের (প্রথম সরকার) রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। সেক্টর কমান্ডাররা এ সরকারের অধীনে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এগুলো নির্ধারিত বিষয়। এগুলো নিয়ে কোন বির্তক নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব নিয়ে কোন বির্তক চলবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই পাকিস্তানিরা তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। এই জায়গাটায় যারা বির্তক করতে চায় তাদের সাথে কোন আপোষ নাই।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ’র মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে   নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক  নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকারের জন্য মানুষকে একত্রিত করে স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু  একটি সুখি, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। যেখানে স্বাধীনতার সুখ থাকবে এবং স্বাধীনতার সুখ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গববন্ধু সাড়ে তিন বছরে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনি শুরু হয় ষড়যন্ত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ীদের মন্তব্য ছিল- ‘বাংলাদেশ একটি ডেথ কেস। বাংলাদেশের কোন সম্ভাবনা নাই। বাংলাদেশের দিকে তাকিওনা; বরঞ্চ অন্য দেশের দিকে তাকাও; যাদের সম্ভাবনা আছে। সামাজিক সংস্থাগুলোকে আহবান জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের দিকে না তাকাতে।’ এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দরিদ্র রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তীর্ণ করেন। তখনি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি; স্বাধীনার সুখ পাইনি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পিছনে ফেলে দিয়ে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া। সেই জায়গায় বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে যাবে না। কারণ নতুন প্রজন্ম এখন বাংলাদেশের মূল ইতিহাস জানতে পেরেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নাটক, চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, মুক্তিযুদ্ধের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। পিছিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নত ও স্মার্ট  বাংলাদেশ হবে এবং তাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কারিগরের ভূমিকা পালন করবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ।

 

রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে খালেদা জিয়া : নৌ-প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুবিধাবঞ্চিত, গরীব প্রতিবেশী অথবা নিকট আত্মীয়-স্বজনকে যাকাতের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সম্মানে এফবিসিসিআইর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ আহ্বান জানান তিনি। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদের সদস্যসহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা এ ইফতার মহফিলে অংশ নেন।

এসময় যাকাত দেওয়ার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, যাকাতের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের অর্জিত আয়ের একটি অংশ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত লোকদের মাঝে বিতরণ করি। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে গরীব প্রতিবেশী অথবা নিকট আত্মীয়-স্বজনকে যাকাতের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, রমজানের নিত্যপণ্য থেকে অতি মুনাফা অর্জনের মানসিকতা থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় বাংলাদেশ বিজনেস সামিট সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এরপর দেশের ব্যবসায়ী নেতারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন।

ইফতার মাহফিলে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, এফবিসিসিআইর পরিচালক, সাধারণ পরিষদ সদস্য এবং ব্যবসায়িক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যাকাতের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাবলম্বী করার আহ্বান জানালেন এফবিসিসিআই সভাপতি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পদ্মা সেতুতে দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্মাণযজ্ঞে ৭ মিটারের আর একটি স্লিপার সফলভাবে বসে গেলে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

জানা যায়, সিংহভাগ কাজ শেষ হলেও একটি স্লিপারের অভাবে শেষ অংশটুকু ঢালাই করা সম্ভব হচ্ছে না। পদ্মাসেতুর মাঝামাঝি ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টের একটি স্লিপার নিয়ে চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন প্রকৌশলী জুহুরুল ইসলাম।

তিনি জানান, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জরুরি ভিত্তিতে বিমানে করে এই স্লিপারটি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আশা করি খুব দ্রুত এটি এসে পৌঁছাবে।

সোমবার সকালে তিনি জানান, স্লিপারটির ছিদ্র ডিজাইন অনুযায়ী মিলছে না। সূক্ষ্ম এই রেললাইন নিখুঁতভাবে নির্মাণ একেবারে শেষ পর্যায়ে। কিন্তু শেষ মুভমেন্ট জয়েন্টের বিশেষ এই স্লিপারটি যথাযথ না হওয়ায় বিলম্ব করতে হচ্ছে।

জুহুরুল ইসলাম বলেন, ‘৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সেতুতে মোট আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। এর সাতটি যথাযথভাবে স্থাপন হয়েছে। বাকি জয়েন্টও স্থাপন হয়েছে তবে রেললাইন ঢালাই করার জন্য এই স্লিপারের বিকল্প নেই।’

মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপন হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের স্টিলের স্লিপারগুলো ছাড়া বাকি কংক্রিটের সব স্লিপার চীনা ঠিকাদির প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরনো রেল স্টেশনের পাশে স্লিপার ফ্যাক্টরি স্থাপন করে সেখানেই তৈরি করেছে। শুধু সেতুর স্লিপারই নয়; পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন তৈরির সব স্লিপার তৈরি হয়েছে সেখানে।

প্রকৌশলী জুহুরুল ইসলাম জানান, বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্ট এবং স্টিলের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে। শেষ স্লিপারটি পৌঁছলে বাকি অংশের ঢালাই হবে।

ঢালাইয়ের পর ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের আশা করা হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ বিগ্রেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। আবার সেই সেতুতে রেল সংযোগ করা আরেকটি চ্যালেঞ্জিং কাজ।

“যে কোনো জিনিস তৈরির সময় যেটা টেবিলে করা হয়, সেটা যখন বাস্তবে হয় তখন একইরকম হয়ে ওঠে না। সেটার জন্য আমাদের প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা ছিল। যেটা আমরা সংশোধন করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “নির্মাণে আমরা সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করেছি। কংক্রিট আনা থেকে শুরু করে প্রেসিং, প্রতিটা সময় আমরা টেস্ট করছি, তারপর সেটা ব্যবহার করছি। পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৯ শতাংশ।

“রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের মধ্যে মাত্র সাত মিটার বাকি রয়েছে। মজবুত এই রেললাইন দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।”

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেলপথ। প্রস্তাবিত পথটি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযুক্ত করে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাজারি-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম সীমান্তে গিয়ে মিশবে।

তারা বলছেন, তাই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলে নতুন এক অধ্যায় রচনা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। অর্থনীতিতে যুগান্তকারী এক অধ্যায় রচনা করবে নতুন এই রেল নেটওয়ার্ক।

পদ্মা সেতুতে রেলপথের কাজ বাকি আছে আর মাত্র ৭ মিটার ; পরীক্ষামূলক রেল চলবে ৩০ মার্চ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আব্দুর রকিব খান।

সোমবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ইতোপূর্বে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ত্রিশাল সার্কেল, ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মামলা নং-১৮, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) রুজুকৃত মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বেদখল হওয়া দোকান ঘর উদ্ধারের জন্য জনৈক মো. গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণসহ উপরোল্লিখিত অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার কারণ দর্শানোর জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষদের দেওয়া বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সব তথ্যাদি বিবেচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় আনিত অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

এতে জানানো হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে ২য় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ২য় কারণ দর্শানো জবাব দেন। তার জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় ‘অসদাচরণ’ এর প্রমাণিত অভিযোগে বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় বিধি অনুযায়ী ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, মোহা. আব্দুর রকিব খানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি (গ) মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। সেজন্য তাকে ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না।

অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব খান

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহীর ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আজ ২৭ মার্চ সোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানাগেছে,মহেশপুর উপজেলার নিমতলা গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে মুন্না (২১) মোটরসাইকেল যোগে নানা বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মুন্নার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেরারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

মহেশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার শামীম ঊদিন জানান ঘটনার পর তাকে যশোর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফাড করা হয়েছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুর সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর হাত বিচ্ছিন্ন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লার সদর দক্ষিণে দুই নাবালক সৎ ভাইকে হত্যার দায়ে সৎভাই সফিউল ইসলাম ছোটনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৭ মার্চ) এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রাজজ ৫নং আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। যার এসটি মামলা নং-২০২৩/২০১৬।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আসামি মোঃ আল সফিউল ইসলাম ছোটন ঘরে ঢুতে দুই সৎ ভাই মেহেদী হাসান জয় (৮) ও মেজবাউল হক মনি (৬)কে বালিশ চাপা দিয়া শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আসামির সৎ মা রেখা বেগম বাদী হয়ে ছোটন (২৩)কে আসামি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এজাহার দায়ের করেন।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ১ মার্চ থানাপুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আজিজুল হক ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামির বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।

পরবর্তীতে ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানীতে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল শফিউল ইসলাম প্রকাশ ছোটন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ রসুলপুর গ্রামের আবুল কালাম প্রকাশ আবুলের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং আসামির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ কাইমুল হক রিংকু।

কুমিল্লায় দুই নাবালক ভাইকে হত্যার দায়ে সৎভাইয়ের ফাঁসির আদেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কক্সবাজার টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে অপহৃত তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এসময় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (২৬ মার্চ) বিকাল প্রায় ৫ টায় টেকনাফের বৈদ্যঘোনা (নতুন পল্লান পাড়া) গহীন পাহাড়ী এলাকা হতে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতরা হলেন আমান উল্লাহ (১৯),  সিরাজুল মোবিন (১৮), আবু তাহের (২৭)

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন টেকনাফ সদরের মাঠপাড়া এলাকার নবী হোসেন (২৭), জাহিদ হোসেন প্রঃ কাবিলা (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল আলম খান। তিনি জানান, ২৫ মার্চ আমান উল্লাহ (১৯) ও তার বন্ধু সিরাজুল মোবিন (১৮) ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া রাস্তায় তাদের অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় কক্সবাজারের সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টেকনাফের একটি মাদ্রাসার সামনে হতে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাসহ দুজনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুইজনকে উদ্ধার করা হয়।

উক্ত অভিযান অভিযান চলাকালীন সময়ে ২৫ মার্চ উখিয়ার কুতুপালং হতে অপহৃত হওয়া আবু তাহের (২৭)কেও উদ্ধার করা হয়।

অপহরণকারীদের থেকে ২টি রাম দা, ২৫ ফুট শিকল, ৮টি তালা, ২টি চাবির ছড়াসহ ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য তাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার হলো অপহৃত ৩ যুবক ; ২ জন গ্রেপ্তার