27 Feb 2025, 11:26 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাগেরহাটের মোংলায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোংলা পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ওমর ফারুক, মিঠাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সহসভাপতি লুৎফর আমির, ছাত্রদল নেতা মো. মুজাহিদ, যুবদল নেতা শফিকুল শেখ ও জিয়ার শেখ।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কারো নামে কোনো মামলা কিংবা জিডি পর্যন্ত নেই। বিনা উসকানিতে ও কোনো কর্মসূচি ছাড়াই ইফতার ও তারাবির সময় এসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ অহেতুক বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে বলে দাবি স্থানীয় বিএনপির।

মোংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগের নাশকতার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওইসব নাশকতার মামলার বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নাশকতা মামলায় মোংলায় বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাতক্ষীরা জেলার তালায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী মোস্তফা বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এমজি আযম এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় মোস্তফা বিশ্বাস আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
মোস্তফা বিশ্বাস তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের আমজেদ বিশ্বাসের ছেলে। আর শিউলী খাতুন একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবদুস সবুরের মেয়ে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, বিয়ের সময় জামাই মোস্তফা যৌতুক নেয়। কিন্তু এতেও খুশী না হয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি র্স্বণ দাবি করে স্ত্রী শিউলীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়  মোস্তফা। বেশ কিছুদিন স্ত্রী বাবার বাড়ি থাকায় যৌতুকের টাকাসহ তাকে আনতে শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুরে যান তিনি। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট রাতে কথাকাটির একপর্যায়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে হত্যা করে মোস্তফা। এ ঘটনার পরের দিন মোস্তফা ও তার বাবা আমজেদ বিশ্বাসকে আসামী করে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মেয়ের পিতা আব্দুস সবুর। একই বছর ৪ সেপ্টেম্বর তালা থানার তৎকালীন এসআই লুৎফর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১০ জনের সাক্ষ্য ও পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিচারক এমজি আযম মোস্তফা বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মোস্তফা বিশ্বাসের বাবা আমজেদ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক।

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবশেষে নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বপ্ন পূরণ হলো। বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের একটি রাস্তা ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে নামফলক উন্মোচন করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২টায় বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন করেন জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্ট এলাকার নবনির্বাচিত সিটি কাউন্সিলম্যান উপ-মহাদেশীয় বংশোদ্ভূত শেখর কৃষ্ণান।

এসময় জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের (জেবিবিএ) সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যথাযথ আমন্ত্রণ না পাওয়ায় নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো সরকারি কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

জ্যাকসন হাইটসের একটি রাস্তা ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে নামকরণের জন্য প্রায় এক বছর ধরে জেবিবিএ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের কাউকেই কোনো রকম বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় প্রবাসীদের মাঝে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সেখানে উপস্থিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত থাকলেও তাদেরকেও কথা বলার সুযোগ দেননি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান। এ ঘটনায় হতবাক হয়েছেন প্রবাসীরা। এমনকি জ্যাকসন হাইটসে বসবাস করেন না এমন এক ব্যক্তি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত মিলন রহমানকে দিয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা হয়। এতে করে উপস্থিত প্রবাসীদের মাঝে নানা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্কের কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ, স্টিভেন রাঘাব, কাউন্সিল মেম্বার জেসিকা গঞ্জালেজ-রোজাস, অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, কাউন্সিল মেম্বার লিন্ডা লি, জেবিবিএর বর্তমান সভাপতি হারুন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, অপর জেবিবিএর সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খানসহ শত শত বাংলাদেশি।

উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলম্যানদের সাধারণ সভায় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’  নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ নিলে পরে ৪৭-০ ভোটে তা পাস হয়। সেই থেকে জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ এভিনিউয়ের ৭৩ স্ট্রিটের নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’। বিলটির সিদ্ধান্ত নম্বর হলো- আইএনটি ৮৯৭।

নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে ‘বাংলাদেশ’ নামে সড়ক করার জোর তৎপরতা চালান জেবিবিএর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা।

জেবিবিএর বর্তমান সভাপতি হারুন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান নিউ ইয়র্ক সিটির কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠান। তাদের দেওয়া তাগিদের ফলেই প্রস্তাবটি পাস করানোর চেষ্টা চালান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলম্যানরা।

কাউন্সিলম্যান শেকার কৃষ্ণান, মেয়র এরিক এডামস, বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস গত নির্বাচনের আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা জয়ী হলে এই নামকরণ বাস্তবায়ন করবেন।

জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক সিটির ১২৯টি স্ট্রিটের পুনর্নামকরণের বিলটি সভায় আলোচনায় আসে। এক এক করে ১২৯টি স্ট্রিটের নতুন নামকরণের প্রস্তাব শোনানো হয়। পাঁচ বরোতেই নতুন নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন স্ট্রিটের বা এভিনিউয়ের। এসব নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন কমিউনিটির নিজ দেশের বা বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে। নিউ ইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় ব্যবসাকেন্দ্র ও সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের এক ব্লকের নামকরণ করা হলো ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’।

এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট একটিভিস্ট, শিক্ষক ও লেখক লিজি রহমানের ছেলের নামে এলমহার্স্টের কুইন্স বুলোভার্ডে ৫৫ রোডের কর্নারে নামকরণ করা হলো আসিফ রহমান ওয়ে। ২০০৮ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইকেল চালিয়ে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুইন্স বুলোভার্ডে ৫৫ রোডের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন আসিফ রহমান। এই রাস্তাটিরও নামকরণ করা হলো কাউন্সিলম্যান শেকার কৃষ্ণানের উদ্যোগেই।

এদিকে শুনানিতে যেমন এই ১২৯টি রাস্তার তালিকায় কুইন্স বরোতে ‘লিটল বাংলাদেশ ওয়ে’ নামে একটি রাস্তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। পাস হওয়া বিলেও সেই নামটি রয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের পার্ক কমিটির চেয়ার। আর স্ট্রিটের পুনর্নামকরণ করার দায়িত্বটিও পার্ক কমিটির। সে কারণে নির্বাচিত হওয়ার ৬ মাস পর থেকেই তিনি ৭৩ স্ট্রিটের নাম বাংলাদেশ স্ট্রিট এবং ৫৫ রোডের নাম আসিফ রহমান ওয়ে রাখার লক্ষ্যে প্রস্তাবনা তৈরি শুরু করেন। এজন্য কেন ৭৩ স্ট্রিটের নাম ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ করতে হবে তার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করান। অবশেষে পার্ক কমিটি তার প্রস্তাবনা মেনে নেয় এবং শুনানিতে তোলে। ৩১ জানুয়ারি শুনানিতে তা গৃহীত হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি তা ফুল কাউন্সিলে ৪৭-০ ভোটে পাস হয়। এ সময় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান সিটি কাউন্সিল চেম্বারে ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট ও ৫৫ রোডকে আসিফ রহমান ওয়ে ঘোষণার পক্ষে চমৎকার দুটি বক্তব্য রাখেন।

আমেরিকার নিউ ইয়র্কের একটি রাস্তার নামকরণ করা হলো ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, বেলারুশ রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র রাখলে ব্রাসেলস মিনস্কের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত রয়েছে। খবর এএফপি’র।

তিনি টুইটার বার্তায় বলেন, ‘বেলারুশের রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র রাখা দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে এবং ইউরোপের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। বেলারুশ এখনো এটি বন্ধ করতে পারে এবং আর এটি তাদের পছন্দ। এ ব্যাপারে ইইউ আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শনিবার ঘোষণা দেন যে বেলারুশে তার দেশের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের একটি স্টেশন থাকবে।
পুতিন বলেন, এ মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের অনুরূপ। বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্ক এ ধরনের অস্ত্র সংরক্ষণ করে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা এমনটা মনে করছেন যে রাশিয়ার যেকোন হামলায় সম্ভবত ছোট আকারের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করবে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র মোকাবেলার অংশ হিসেবে এটিকে একটি ‘কৌশল হিসেবে অভিহিত করা হয়।

শনিবার সম্প্রচার করা এক সাক্ষাতকারে পুতিন বলেন, বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের ব্যাপারে এ পদক্ষেপ ‘অস্বাভাবিক কিছু না।’ এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে। সূত্র: বাসস

রুশ পরমাণু অস্ত্র রাখলে মিনস্কের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার দিবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতাবস্থা শিগগিরই কিছুটা টালমাটাল হতে চলেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তাই তিনি বিশ্বের বাজারের নিয়ন্ত্রকদের আগাম সতর্ক করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যে সাম্প্রতিক ঝড় উঠেছে, তার কারণেই এই ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। তাই বিশ্ব বাজারের নিয়ন্ত্রকদের ‘একটু নজর রাখার’ পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিস্টালিনা।

কেন নজর রাখতে হবে তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে বিশ্বের সমস্ত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ক্রিস্টালিনার মতে, এই সব কিছুই বৃহত্তর আর্থিক ব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে।

ক্রিস্টালিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা কম সুদের হার থেকে হঠাৎ বেশি হারের সুদের এই উত্তরণের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনীতির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়া। অর্থনীতির দুর্বল বা অতি সংবেদনশীল হয়ে যাওয়া। ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত।

গত কাল রোববার বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন ক্রিস্টালিনা। সেখানেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। ক্রিস্টালিনা জানিয়েছেন, এক দিকে অতিমারি, অন্য দিকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধি কমে ৩ শতাংশেরও নিচে চলে এসেছে।

 

ঝুঁকির মুখে পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি :  আইএমএফ প্রধান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে এমপি পদ থেকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছে তার কর্মী-সমর্থকরা। মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের পর গত সপ্তাহে রাহুলকে এমপি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে একটি নির্বাচনি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশীয় পদবি নিয়ে  মন্তব্যের জন্য গুজরাটের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

কংগ্রেস এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে। তবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, সংসদীয় নিয়মেই বহিষ্কার হয়েছেন রাহুল।

কংগ্রেসের কয়েক’শ নেতা দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার দিল্লিতে রাহুলের অযোগ্যতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। হিমাচল, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং গুজরাট রাজ্যেও বিক্ষোভ সমাবেশ করছেল দলীয় কর্মীরা।

দিল্লিতে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যোগ দেন। গত সপ্তাহে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণার পর থেকে তাদের মধ্যে অনেকেই সংসদের নিম্নকক্ষ- লোকসভার প্রথম অধিবেশনে কালো পোশাক পরেছিলেন।

পার্লামেন্টের ভেতরও বিক্ষোভ হয়েছে। এর ফলে দিনের বেলা বেশ কয়েক দফা অধিবেশন স্থগিত করা হয়। অধিবেশনের আগে কংগ্রেস এমপি প্রমোদ তিওয়ারি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য অভিযোগ তোলেন।

তিওয়ারি বলেন, ‘যখন আমরা সংসদে কথা বলি, তারা তখন কার্যক্রম চালাতে দেয় না। আমরা যখন বাইরে কথা বলি, তারা দলের নেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করে দেয়।’

রাহুল গান্ধী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়ানাদ থেকে কংগ্রেস পার্টির এমপি ছিলেন। ৫২ বছর বয়সী এই নেতা নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য। এ পরিবার থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে ভারত। দেশটির আগামী নির্বাচন যখন দরজায় কাড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে লোকসভা।

আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য জামিন দিয়েছে। রাহুলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।

রাহুল তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করলেও তার সমর্থকরা বলছেন, নেতার এই অযোগ্যতা ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।

রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রবিবার বলেছিলেন, তার ভাইকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সূত্র: বিবিসি

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া সোমবার স্বল্পপাল্লার দুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এটি ছিল তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী একথা জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাঁচ বছরের মধ্যকার বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া সম্প্রতি শেষ করেছে। আর সিউল ও ওয়াশিংটনের যৌথ উভগামী অবতরণ মহড়া চালানোর এই সময়ে উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।

এদিকে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধরনের সকল মহড়াকে আগ্রাসনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে দেখে এবং পিয়ংইয়ং এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা এসব মহড়ার জবাব দিতে ‘অপ্রতিরোধ্য’ পদক্ষেপ নেবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) বলেছে, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী উত্তর হোয়াংহাই প্রদেশের জুংওয়া এলাকা থেকে সকাল ৭ টা ৪৭ মিনিটে (গ্রিনিচ মান সময় ২২৪৭ টা) পূর্ব সাগর অভিমুখে উৎক্ষেপণ করা দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সনাক্ত করেছে।’ এটি জাপান সাগর নামে পরিচিত বলেও উল্লেখ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী আরো উৎক্ষেপণের বিরুদ্ধে নজরদারি ও সতর্কতা জোরদার করেছে।’

এদিকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জাপানের গণমাধ্যম বলেছে, উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে পড়ার আগে একটি অনিয়মিত গতিপথে উড়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবারও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নেপালে আবারও ঘটতে চলেছিল ভয়ংকর প্লেন দুর্ঘটনা। মাঝআকাশে দুটি প্লেনের মধ্যে সংঘর্ষ প্রায় ঘটেই গিয়েছিল। ‘ওয়ার্নিং সিস্টেম’র কারণে এ যাত্রায় কোনোমতে রক্ষা! অবতরণের অপেক্ষায় থাকা দুটি প্লেনের মধ্যে দূরত্ব যে দ্রুত শূন্যে নেমে আসছিল, তা খেয়ালই করেননি কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা (এটিসি)। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জেরে দুই কন্ট্রোলারকে বরখাস্ত করেছে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএন)।

গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের অপেক্ষায় থাকার সময় মাঝআকাশে সংঘর্ষের কবলে পড়তে চলেছিল এয়ার ইন্ডিয়া এবং নেপাল এয়ারলাইনসের দুটি প্লেন। কিন্তু ওয়ার্নিং সিস্টেম সতর্ক করায় শেষমুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হন পাইলটরা।

জানা গেছে, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে বেশি ব্যস্ততার কারণে ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় অপেক্ষা করছিল এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনটি। কিন্তু হঠাৎ সেটি নিচে নেমে আসে এবং ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ন্ত নেপাল এয়ারলাইনসের প্লেনের সঙ্গে কোনোমতে সংঘর্ষ এড়ায়।

এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনটি সেদিন কেন হঠাৎ নিচে নেমে এলো, এ বিষয়ে ভারতের সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালককে (ডিজিসিএআই) চিঠি লিখে ব্যাখ্যা দিয়েছে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

সিএএএন’র মুখপাত্র জগন্নাথ নিরোলা বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে বলেছেন, ঘটনাটি মূল্যায়ন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ও আমাদের অবহিত করার অনুরোধ জানিয়ে আমরা ডিজিসিএআই’কে চিঠি দিয়েছি।

তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে সিএএএন কর্তৃপক্ষ।

ওইদিন নেপাল এয়ারলাইনসের প্লেনটি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে এবং এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনটি ভারতের নয়াদিল্লি থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল।

তবে এ ঘটনায় ভারতীয় পাইলটের কোনো ত্রুটি ছিল কি না তা তদন্ত করতে আহ্বান জানিয়েছে নেপাল কর্তৃপক্ষ। নিরোলা বলেছেন, আমরা এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটের সম্ভাব্য ত্রুটির তদন্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি।

হিমালয় সংলগ্ন পাহাড়ি দেশ নেপাল প্লেন চলাচলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশ্ন রয়েছে তাদের সুরক্ষা ও পরিচালনা ব্যবস্থা এবং কর্মীদের দক্ষতা নিয়েও। নিরাপত্তা উদ্বেগের জন্য নিজেদের আকাশসীমায় নেপালের সব এয়ারলাইনসের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এয়ার ইন্ডিয়া ও নেপাল এয়ারলাইনসের দুটি প্লেন সংঘর্ষ এড়ানোর ঘটনার দু’মাসেরও কম সময় আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছিলেন ৭২ আরোহী। ইয়েতি এয়ারলাইনসের সেই প্লেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত সরকারি কমিটি শিগগির প্রতিবেদন জমা দেবে। সূত্র: আল-জাজিরা

নেপালে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ এড়ালো দুই প্লেন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জার্মানিতে সোমবার শ্রমিক সংগঠনের ডাকে বিশাল ধর্মঘটে গোটা দেশ প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম-বাস, ট্রেন এমনকি আকাশপথের বিমানও চলছে না। মূল্যস্ফীতির মুখে বেতন ও মজুরি বাড়াতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

রোববার মাঝরাত থেকে সোমবার মাঝরাত পর্যন্ত জার্মানিতে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ করে দিতে বিশাল সতর্কতামূলক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিষেবা ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন ভ্যার্ডি এবং রেল ও পরিবহণ ক্ষেত্রের শ্রমিক সংগঠন ইভিজি।

ভ্যার্ডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ এবং ইভিজির প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার। সরকার ও পৌর স্তরের শ্রমিক-কর্মীদের জন্য মোটা অংকের বেতনবৃদ্ধির দাবি করছে তারা। ভ্যার্ডি ১০ দশমিক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি চাইছে, ইভিজি চাইছে ১২ শতাংশ। সোমবারই মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে দরকষাকষি আবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ভ্যার্ডির মতে, প্রথমে করোনা মহামারি, তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় মূল্যস্ফীতির কারণে শ্রমিক-কর্মীদের দূরাবস্থা অন্তত কিছুটা হলেও লাঘব করতে এই দাবি ন্যায্য। গত কিছু দিন ধরেই দেশটিতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন অঞ্চল ও ক্ষেত্রে ধর্মঘটের মাধ্যমে কর্মদাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে শ্রমিক সংগঠন। ভ্যার্ডি-র প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে বলেন, এটা হাজার হাজার কর্মীর বেঁচে থাকার প্রশ্ন।

অন্যদিকে, সরকার ও পৌর স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক সংগঠনের এই দাবিকে অবাস্তব বলে বর্ণনা করছে। তাদের মতে, সরকারি কোষাগারে এমন অস্বাভাবিক বেতনবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই। বিশেষ করে পরিবহণ ক্ষেত্রে বেতন বেশি বাড়ালে ভাড়া ও বাড়তি কর চাপিয়ে সেই অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। জার্মানির রেল সংস্থা ‘ডয়চে বান’ এই ধর্মঘটকে ‘সম্পূর্ণ মাত্রাহীন, ভিত্তিহীন ও অপ্রয়োজনীয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে রাশিয়া থেকে সস্তায় গ্যাস সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তুর মূল্য থেকে শুরু করে বাসাভাড়া এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেছে। জ্বালানি সংকট দেখা না দিলেও মূল্যস্ফীতির রাশ টান টানতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইউরো এলাকার তুলনায় জার্মানির মূল্যস্ফীতির হার বেশি থেকেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম গত বছরের তুলনায় নয় দশমিক তিন শতাংশ বেশি ছিল।

সোমবারের ধর্মঘটের ফলে নিত্যযাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যার মুথে পড়ছেন। বিশেষ করে বাসায় থেকে ‘হোম অফিস’ করার সুবিধা যাদের নেই, তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

জার্মানির হাইওয়ে পরিচালন সংস্থার কর্মীরাও ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় অনেক হাইওয়েতে অবরোধের আশঙ্কা রয়েছে। ভ্যার্ডি-র প্রধান ভ্যার্নিকে মানুষের দুর্দশার কথা মেনে নিয়েও বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক ও কর্মীদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে এছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন। পণ্যের পরিবহনে বিঘ্ন এড়াতে জার্মানির পরিবহণমন্ত্রী ফল্কার ভিসিং রোববার ট্রাক চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 

বেতন বাড়াতে শ্রমিক সংগঠনের ডাকে নজিরবিহীন ধর্মঘটে স্তব্ধ জার্মানি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তাইওয়ান ইস্যুতে চীন ও পশ্চিমাদের মধ্যে বরাবরই বিরাজ করছে উত্তাপ। তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন মনে করলেও বেইজিংয়ের দাবি, ভূখণ্ডটি চীনের অংশ। এমনকি তাইওয়ান প্রশ্নে সামরিক হামলার পথও খোলা রেখেছে বেইজিং।

এই পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সম্পর্কের উন্নতি করতে চীনে গেলেন তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ। সোমবার (২৭ মার্চ) যুগান্তকারী এই সফরে চীনে গেলেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেন মা ইং-জিউ। দশকের পর দশকের উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ানের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে চীন সফর করছেন।

সোমবার যুগান্তকারী এই সফরে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে মা ইং-জিউ বলেন, তরুণদের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে (এই সফরে) তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সম্পর্ক উন্নত করার আশা করেন।

রয়টার্স বলছে, বেইজিং এবং তাইপেইয়ের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে; আর সেটিও এমন এক সময় যখন তাইওয়ানকে চীনা সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়ার জন্য সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে চীন।

অবশ্য ২০১৫ সালের শেষের দিকে সিঙ্গাপুরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেছিলেন তৎকালীন তাইওয়ানিজ প্রেসিডেন্ট মা ইং-জিউ। তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

তাইওয়ানের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ৭৩ বছর বয়সী মা বলেন, তিনি চীনে এই সফরে যেতে পেরে ‘খুব খুশি’। সফরের সময় সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি চীনে তার পূর্বপুরুষদের কবরে শ্রদ্ধা জানাবেন বলেও জানান তিনি।

বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি তরুণদের উদ্দীপনা এবং পারস্পরিক ভাবনা আদান-প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান তাইওয়ান প্রণালীর উভয়পাশের পরিবেশকে উন্নত করার আশায় আমি তাইওয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাচ্ছি। যাতে শান্তি আরও দ্রুত আসতে পারে।’

রয়টার্স বলছে, মা ইং-জিউ তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি)-এর একজন সিনিয়র সদস্য। এই দলটি চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষপাতী। যদিও নিজেদের বেইজিংপন্থি হওয়াকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে থাকে দলটি।

কেএমটি বলেছে, তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে বিদ্যমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের কাছে পৌঁছানো এখন আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। যদিও তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ​​ইং-ওয়েনের আলোচনার প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে এসেছে চীন।

সাইয়ের মতে, শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে এবং এই কারণেই তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করে চীন।

অবশ্য তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি চীন সফরে যাওয়ার জন্য মা-র সমালোচনা করে বলেছে, এটি অনুপযুক্ত কারণ, তাইওয়ানের সাবেক মিত্র হন্ডুরাস একদিন আগেই বেইজিংয়ের পক্ষ নিয়ে তাইপের সাথে সম্পর্কের শেষ ঘোষণা করেছে।

 

সম্পর্ক উন্নয়নে চীন সফরে তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট