27 Feb 2025, 02:16 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খুলনার আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) দীঘলিয়া উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।

জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনি এলাকার লিন্ডা ক্লিনিকের সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। নিহত শেখ আনসার আলী দিঘলিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, নিহত আনসার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হত্যা মামলার আসামি। তিনি দির্ঘদিন খানজাহান আলী থানার শিরোমনি এলাকায় বসবাস করতেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার কংগ্রেসনাল রিসার্চ সেন্টার স্বীকার করেছে: ইরানের বিরুদ্ধে তাদের সকল কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সেন্টারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞা, সামরিক পদক্ষেপ এবং কূটনৈতিক প্রয়াসসহ আমেরিকার বিভিন্ন সরকারের সকল কৌশল ব্যর্থ হয়েছে।

ফারস বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসনাল রিসার্চ সেন্টার তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন সেদেশের আইনসভায় পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে কংগ্রেস ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপট তৈরি, ইরান-বিরোধী মার্কিন মিত্রদের কাছে অস্ত্র বিক্রির জন্য সহায়তা ও অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করাসহ এ সংক্রান্ত যে-কোনো আলোচনাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল কংগ্রেস। পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনাসহ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট সকল পর্যালোচনায় কংগ্রেসের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

এই প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে স্বীকার করা হয়েছে যে, ইরানের মোকাবেলায়  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে মার্কিন স্বার্থ চ্যালেঞ্জকারী ইরানের প্রভাব ঠেকাতে এবং তাদের সক্ষমতা রোধেও সফল হয় নি কংগ্রেস।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে:  চলতি ২০২৩ সালে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইরানের প্রভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে নয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইরান। ইরান এখন এ অঞ্চলে এবং তার বাইরেও আমেরিকার স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ করতে সক্ষম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সকল কৌশল ব্যর্থ হয়েছে : মার্কিন কংগ্রেস

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরে রোজার প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) তুলকারেম শহরে এ ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৫ বছর বয়সী আমির আবু খাদিজেহ।

ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আবু খাদিজেহের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছার পর তার হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বন্দুক হামলার সন্দেহভাজন এক ফিলিস্তিনিকে ধরতে অভিযান চালায়। তারা। এসময় গুলিতে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।

তুলকারেম ব্রিগেড, গত এক বছরে পশ্চিম তীরে সক্রিয় হওয়া বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে একটি। আবু খাদিজেহ এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছে তারা।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মুরাদ দ্রৌবি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী তুলকারেমের একটি এলাকা শুফায় হামলা চালায়।

আবু খাদিজেহ যে বাড়িতে ছিলেন ওই বাড়ির মালিককেও আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত বছরও রমজান মাসে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

গত রোববার ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা শারম আল-শেখে মার্কিন, মিশরীয় ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তারা সহিংসতা হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

গত একবছরে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পশ্চিম তীরে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে বন্দুক হামলায় ৪০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি এবং তিনজন ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

রোযার প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১ ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম পানির নীচে চলাচলযোগ্য একটি যুদ্ধ ড্রোনের পরীক্ষা চালানোর কথা ঘোষণা করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ আজ (শুক্রবার) বলেছে, এই ড্রোনের মাধ্যমে সাগরে রেডিও একটিভ সুনামি সৃষ্টি করা সম্ভব।

কোরীয় উপদ্বীপে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে কেসিএনএ জানিয়েছে। এটি বলেছে, পরীক্ষার সময় ড্রোনটি সাগরের ৮০ থেকে ১৫০ মিটার গভীরে ৫৯ ঘণ্টারও বেশি চলাচল করেছে এবং  উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে এটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন নিজে এ পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছেন জানিয়ে কেসিএনএ বলেছে, পানির নীচের এই পারমাণবিক ড্রোন যেকোনো সাগর উপকূলে মোতায়েন করা যায় এবং ওই সাগরে টহলরত জাহাজে বসে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তবে এ খবর থেকে একথা পরিষ্কার হয়নি যে, উত্তর কোরিয়া অপেক্ষাকৃত ছোট বাহনে পরিবহন করার জন্য তার পরমাণু ওয়ারহেডগুলোর আকার ছোট করেছে কিনা। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া যদি তার পরমাণু অস্ত্রগুলোর আকার ছোট করার কাজে হাত দিয়ে থাকে তা হবে দেশটির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।#

পানির নীচে চলাচলযোগ্য পারমাণবিক ড্রোনের পরীক্ষা চালাল উ. কোরিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তি করার জন্য জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করতে হবে পাকিস্তানকে। প্রস্তাবিত জ্বালানি দাম নির্ধারণসহ চুক্তিতে উল্লিখিত কয়েকটি বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে পাকিস্তান ঐকমত্যে পৌঁছানোর পরপরই ১১০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। আইএমএফের কর্মকর্তা এসথার পেরেজ রুইজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করেন। সে অনুসারে, প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের দাম ১০০ রূপি (পাকিস্তানি) করে বাড়ানো হবে। অপেক্ষাকৃত ধনী ক্রেতাদের কাছে বেশি মূল্যে জ্বালানি বিক্রি করে সেই বাড়তি অর্থ নিম্নবিত্তদের জন্য ভর্তুকি হিসেবে দেবে সরকার।

পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নতুন দাম নির্ধারণের জন্য ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে সরকার। জ্বালানিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু ভর্তুকিই নয়, অতিরিক্ত অর্থ ত্রাণ প্রকল্পেও ব্যবহার করা হবে।’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই ঋণ চুক্তি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা করছে পাকিস্তান। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাই সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের এই ঋণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশটির সরকার। সূত্র: রয়টার্স

 

আইএমএফের ঋণ পেতে আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াবে পাকিস্তান সরকার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এক দশকেরও বেশি সময় পর পুনরায় দূতাবাস চালু করতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব ও সিরিয়া। সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। এটি আরব বিশ্বে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত বলে ধরা হচ্ছে। এর আগে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নেয় সৌদি আরব।

দামেস্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার যুগান্তকারী চুক্তির পর রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যেও যোগাযোগ ত্বরান্বিত হয়েছে।

রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা ও আরব বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।

দামেস্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত দ্বিতীয় আঞ্চলিক আরেকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদুল ফিতরের পরে দূতাবাস পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশের সরকার।’

উপসাগরীয় অঞ্চলের এক কূটনীতিকের মতে, সিরিয়ার একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে সৌদি আরবের আলোচনার ফল হিসেবে দূতাবাস চালুর সিদ্ধান্ত এলো। তবে এ বিষয়ে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সিরিয়ার সরকারের মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কনস্যুলার সার্ভিস পুনরায় চালু করার আলোচনা চলছে।

বিষয়টির সংবেদনশীল হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব সূত্র তথ্য দিয়েছে রয়টার্সকে।

ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য সংকটও দূর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও ইয়েমেনে পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছিল সিরিয়া-ইরান ও সৌদি আরব।

সৌদি আরব, কাতারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক মিত্র সিরিয়ার কিছু বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল। অন্যদিকে, ইরান ও রাশিয়ার সহায়তায় আসাদ সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বিদ্রোহীদের দমনে সক্ষম হন।

সৌদি আরবের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। সংঘাতের জেরে সরকারের বর্বরতা ও একটি রাজনৈতিক সমাধানের দিকে অগ্রগতি প্রয়োজন উল্লেখ করে তারা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্রকে এ সম্পর্ক প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে’। দেশটি অন্যান্য দেশকে আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহিত করবে না।

এক সময় মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আরব দেশগুলোর সঙ্গে নতুনভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছেন বাশার আল-আসাদ। তবে দেশগুলোর পক্ষে সিরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। সূত্র: রয়টার্স

পুনরায় দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব ও সিরিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরকে ওয়াশিংটনের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

প্রতিরক্ষা বরাদ্দ সংক্রান্ত হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের উপকমিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন অস্টিন।

পেন্টাগন প্রধান বলেন, ‘শি’র সফর এবং সেখানে কয়েকদিন থাকা আমার মনে হয় একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বার্তা। এই সফর আসলে রাশিয়াকে সমর্থনের বার্তা পাঠায়।’

তিনি বলেন, ‘পেন্টাগন যদিও এমন কিছুর লক্ষণ দেখেনি, তবে পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে যদি সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে চীন তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য খুবই উদ্বেগজনক।’

সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘শি যদি মস্কোকে অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করবে। এতে অবশ্যই বিরোধ বাড়বে, যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’

তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২০ মার্চ রাশিয়া যান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। টানা তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার রাশিয়ায় সফরে করেন তিনি। সূত্র: আরটি

 

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফর উদ্বেগজনক : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে পাকিস্তানে রোজার প্রথম দিনে বিনামূল্যে আটা-ময়দা নিতে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। এসময় আটা সংগ্রহ করতে গিয়ে লেগে যায় হুড়োহুড়ি। পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চরসদ্দায় ঘটে এ ঘটনা। এছাড়া, বান্নু জেলায় একটি আটার মিলের দেওয়াল ধসে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

রমজান মাস উপলক্ষে এই প্রদেশের ৫৭ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে আটা-ময়দা বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরসদ্দায় এক সঙ্গে শত শত মানুষ আটা নিতে ছুটে যাওয়ায় লেগে যায় হুড়োহুড়ি। এতে পদদলিত হয়ে শেল আফজাল নামে একজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৯ জন।

পরবর্তীতের সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। জেলার উপ-কমিশনার আদনান ফরিদ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে গ্রাম পরিষদ পর্যায়ে আটা বিতরণ করা হবে।

এছাড়া অন্য একটি জেলায় দেওয়াল ভেঙে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তির নাম গুল খান এবং তার বয়স ৬৫ বছর। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, আটার ব্যাগ ছিনতাই ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। সূত্র: ডন

 

 

পাকিস্তানে বিনামূল্যে আটা নিতে হুড়োহুড়ি ; পদদলিত হয়ে ১ জন নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘পুতিন গ্রেফতার হলে যুদ্ধ লেগে যাবে’। সম্প্রতি পুতিনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক আদালত। ইউক্রেনে পুতিনের সেনা যুদ্ধাপরাধ করেছে, এই অভিযোগ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হয়েছিল।

অতি সম্প্রতি আদালত সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছে। যুদ্ধের জন্য এবং যুদ্ধাপরাধ ঘটানোর দায়ে পুতিনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) টেলিগ্রামে এই বার্তা দিয়েছেন দিমিত্রি।

তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর কোনো দেশে রাশিয়ার প্রধান গেলে তাকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে রাশিয়া পুরাদস্তুর যুদ্ধ ঘোষণা করবে। বস্তুত, উদাহরণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ধরা যাক পুতিন জার্মানি গেলেন এবং সেখানে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সমস্ত মিসাইল বার্লিনের পার্লামেন্ট লক্ষ্য করে ছোড়া হবে। বার্লিন ধ্বংস করে দেয়া হবে। হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে এই রায় ঘোষণা হওয়ার পরে এই প্রথম রাশিয়ার কোনো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুললেন।

দিমিত্রি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের প্রসিকিউটর করিম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। যেভাবে পুতিনের শাস্তি ঘোষণা হয়েছে, তা ভুল বলে তাদের দাবি। কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না।

এভাবে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায় না। করিম খান ইচ্ছা করেই এই কাজ করেছেন বলে রাশিয়ার দাবি। এবং সে কারণেই তার বিরুদ্ধে রাশিয়ার কোর্টে মামলা শুরু হয়েছে। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৬টি দেশ পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সমর্থন করেছে।

কিন্তু হাঙ্গেরি জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই রায় মানছে না। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া পছন্দ করছে না। পুতিন হাঙ্গেরি গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, জার্মানি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে খুশি।

 

পুতিন গ্রেফতার হলে লেগে যাবে যুদ্ধ: রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু’বছরের কারাদণ্ড পাওয়া রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। খবর এনডিটিভির।

মোদী পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গুজরাটে সুরাট জেলা আদালত রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হলো।

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী সরকারে বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে অন্য বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছে কংগ্রেস। এদিন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাম, জেডি(ইউ), ডিএমকের পাশাপাশি বৈঠকে ছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-ও। এর পরে সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তারা।

আইন অনুযায়ী, সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়ায় রাহুল অন্তত আগামী ৬ বছর কোনো নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।

সুরাট জেলা আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা রাহুলকে ১০ হাজার টাকার জামিনে মুক্তি দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত করার ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি তিনি।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাংক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় গুজরাটে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী।

‘মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ; কারাদন্ডের পর এমপি পদও গেল রাহুল গান্ধীর