27 Feb 2025, 01:11 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালে বৃহস্পতিবার মোট ৪৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৪১ জন নিরাপত্তা বাহিনী আহত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন বলেছেন। খবর এএফপির।

শুক্রবার সকালে সিনিউজ চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় দারমানিন আরও বলেন, জানুয়ারিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভের সবচেয়ে হিংসাত্মক দিনে প্যারিসের রাস্তায় ৯০৩টি আগুন জ্বলেছে। অনেক বিক্ষোভ ছিল এবং এর মধ্যে কিছু হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, বিশেষ করে প্যারিসে। ফ্রান্সের চারপাশে মিছিল করা মিলিয়নেরও বেশি লোককে রক্ষা করা পুলিশের জন্য কঠিন ছিল।

পুলিশ সতর্ক করেছিল যে প্যারিস মার্চে নৈরাজ্যবাদী দলগুলি অনুপ্রবেশ করবে বলে আশা করা হয়েছিল এবং হুড ও মুখোশ পরা যুবকদের বিক্ষোভের শেষ পর্যায়ে জানালা ভাঙতে এবং অসংগৃহীত আবর্জনাগুলিতে আগুন দিতে দেখা গেছে।

ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী সরকারের ডানপন্থী কট্টরপন্থী দারমানিন, পেনশন সংস্কার প্রত্যাহার করার জন্য বিক্ষোভকারীদের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন যা বিতর্কিত পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে সংসদকে ছাড়পত্র দিয়েছে।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না যে সহিংসতার কারণে আমাদের এই আইন প্রত্যাহার করা উচিত। যদি তাই হয়, তার মানে কোন রাষ্ট্র নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক, সামাজিক বিতর্ক মেনে নেওয়া উচিত, কিন্তু হিংসাত্মক বিতর্ক নয়।’

বৃহস্পতিবার অন্য কোথাও, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াইন-রপ্তানি কেন্দ্রে সংঘর্ষের সময় বোর্দো সিটি হলের প্রবেশদ্বারে আগুন লাগানো হয়েছিল। বোর্দোর মেয়র পিয়েরে হার্মিক শুক্রবার আরটিএল রেডিওকে বলেছেন, ‘এই ধরণের ভাঙচুর বুঝতে এবং মেনে নিতে আমার অসুবিধা হচ্ছে। আপনি কেন আমাদের সাম্প্রদায়িক বিল্ডিংকে টার্গেট করবেন, বোর্দোর সমস্ত মানুষকে কেনো করবেন? আমি কেবল সম্ভাব্য কঠোর ভাষায় এর নিন্দা করতে পারি।’

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস আগামী মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পরিদর্শন করতে প্রস্তুত, এবং সিটি হল পরিদর্শন এবং হারমিকের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।

ফ্রান্সের পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ; গ্রেপ্তার ৪৫৭ ; আহত ৪৪১ পুলিশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গৌতম আদানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য টালমাটাল করে দেওয়া হিনডেনবার্গ রিসার্চ আরও একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের এবারের নিশানায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা ব্লক ইনকরপোরেটেড। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মোবাইল পেমেন্ট সম্পর্কিত সংস্থাটির বিষয়ে বিশাল দুর্নীতি লুকানোর অভিযোগ তোলে হিনডেনবার্গ। আর তারপর থেকেই হয়তো ভরাডুবি শুরু হয়েছে এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির। খবর ব্লুমবার্গের।

প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৫২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন ব্লকের প্রধান নির্বাহী (সিইও)। গত বছরের মে মাসের পর থেকে এত বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে আর পড়েননি তিনি।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুসারে, ১১ শতাংশ কমে যাওয়ার পর ডরসির বর্তমান সম্পদের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ৪৪০ কোটি ডলার।

শুধু ডরসি নিজে ডুবছেন তা নয়, প্রতিবেদন প্রকাশের পর ধস নেমেছে ব্লকের শেয়ারেও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, বৃহস্পতিবার সংস্থাটির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শেয়ারের ১৫ শতাংশ দরপতনের পর শুক্রবার অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক শেয়ারের দর কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।

হিনডেনবার্গের নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ডরসির ব্লক ইনকরপোরেটেড ব্যবহারকারীদের মেট্রিক্স (ইউজার মেট্রিক্স) বাড়িয়ে দেখিয়েছে।

গবেষণা সংস্থাটি বলছে, ব্লকের সাবেক কর্মচারীদের যত অ্যাকাউন্ট তারা পর্যালোচনা করেছে, তার মধ্যে ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশই ভুয়া অথবা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অথবা একই ব্যক্তির সঙ্গে সংযুক্ত অতিরিক্ত অ্যাকাউন্ট ছিল।

তবে হিনডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে ব্লক কর্তৃপক্ষ। আদানি গ্রুপের মতো তারাও শর্ট-বিক্রেতা সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

টুইটারের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। তবে তার বেশিরভাগ ব্যক্তিগত সম্পত্তি এখন ব্লকের সঙ্গে সম্পর্কিত। ব্লুমবার্গ সম্পদ সূচক অনুসারে, ব্লক ইনকরপোরেটডের বর্তমান মূল্যমান প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। এর বাইরে টুইটারে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার মূল্যের শেয়ার রয়েছে ডরসির।

টালমাটাল আদানি গ্রুপ : চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতের আদানি গ্রুপকে নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। তার পরপরই পতন শুরু হয় আদানি সাম্রাজ্যের।

অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তোলে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলো কয়েক দশক ধরে শেয়ারবাজারে ধোঁকাবাজি এবং হিসাবপত্র জালিয়াতি করে আসছে।

হিনডেনবার্গ আরও দাবি করেছে, আদানির কোম্পানিগুলোর কাঁধে বিশাল ঋণ রয়েছে, যা পুরো গ্রুপটির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

গত ২৪ জানুয়ারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানি প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলারের বাজারমূল্য হারিয়েছে। ধস নেমেছে আদানির ব্যক্তিগত সম্পদেও। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তিনি ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষধনী। কিন্তু সম্পত্তি কমতে কমতে ধনীদের তালিকায় তিনি এখন ২১তম।

তবে হিনডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। তাদের দাবি, আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা ভারতের পরিকল্পিত আক্রমণের অংশ।

আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে গত ২ মার্চ পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে গৌতম আদানির পর এবার ডুবছেন জ্যাক ডরসি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এক বছরে ভারতসহ বিশ্বে ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে। ২০২২-এ ৩ হাজার ৩৮১ থেকে কমে হয়েছে ৩১১২। শতাংশের নিরিখে যা প্রায় ৮ শতাংশের মতো। হুরুন গ্লোবালের ধনীদের তালিকায় এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে।

তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই কেউ এগিয়েছেন আবার কেউ পিছিয়েছেন। যেমন বিশ্বের সেরা ১০ ধনকুবেরের তালিকায় ঢুকেছেন মুকেশ আম্বানি আর তালিকার বাইরে চলে গেছেন গৌতম আদানি। হুরুন গ্লোবালের ধনীদের তালিকায় মুকেশ আম্বানি নবম স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে গৌতম আদানি পিছিয়ে ২৩ নম্বরে চলে গেছেন। এ মুহূর্তে ধনী ভারতীয় হলেন মুকেশ আম্বানি। ৮২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তিনি গৌতম আদানিকে ছাড়িয়ে গেছেন।

সারা বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৯ নম্বরে। এক্ষেত্রে তালিকায় মুকেশ আম্বানিই একমাত্র ভারতীয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ব্লুমবার্গের ধনকুবেরের তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন গৌতম আদানি। বিশ্বে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় গৌতম আদানি রয়েছেন ৬ নম্বরে।

প্রথমে রয়েছেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন কমে ১১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এরপরেই রয়েছেন এলন মাস্ক। তিন প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।

গৌতম আদানির সম্পদ ২৮ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ৪১ জন ভারতীয় ধনকুবেরের সম্পদ গত বছরের তুলনায় কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলার কমেছে। ভারতীয়দের মধ্যে সব থেকে বেশি সম্পদ হারিয়েছেন গৌতম আদানি। ভারতে কমেছে ধনকুবেরের সংখ্যা ভারতে ধনকুবেরের সংখ্যা ২৮ কমেছে। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে গত এক বছরে প্রতি সপ্তাহে ৫ জন করে ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে।

বর্তমানে ভারতে ধনকুবেরের সংখ্যা ১৮৭ জন। ধনকুবেরের সংখ্যার নিরিখের চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সবার আগে রয়েছে। দুই দেশের ধনকুবেরে সংখ্যা সারা বিশ্বের ৫৩ শতাংশ। শীর্ষে থাকা ১০ ভারতীয় ধনকুবেরের মধ্যে ১ জনের সম্পদ বেড়েছে।

হুরুন গ্লোবালের ধনীদের তালিকা অনুযায়ী শীর্ষে থাকা ১০ ভারতীয় ধনকুবেরের মধ্যে নয়জন তাদের সম্পদ হারিয়েছেন। শুধুমাত্র সেরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস পুনাওয়ালার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে গত ১ বছরে।

এক নজরে ভারতীয় ধনকুবেররা : ভারতের ১৮৭ জন ধনকুবেরের মধ্যে ৫ জন সারা বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে রয়েছেন। ৩০ জন থাকেন বিদেশে। তালিকায় ১৫ জন নতুন মুখ। এছাড়াও এই তালিকায় ১০ জন নারী রয়েছেন। গত ৫ বছরে ভারতীয় ধনকুবেররা তাদের সম্পদের সঙ্গে ৩৬১ বিলিয়ন ডলার যুক্ত করেছেন। যা হংকংয়ের জিডিপির সমান।

অন্যদিকে সারা দেশের মধ্যে মুম্বাইয়ে থাকেন ৬৬ জন ধনকুবের। দিল্লিতে থাকেন ৩৯ জন আর বেঙ্গালুরুতে থাকেন ২১ জন। ভারতীয় ধনকুবেরদের মধ্যে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তরা। তারপরেই রয়েছে ভোগ্যপণ্য এবং রাসায়নিক। স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত ভারতীয় ধনকুবেরদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস মিস্ত্রি এবং তারপরে রয়েছেন সান ফার্মাসিউটিক্যালসের দিলীপ সাংভি।

আদানিকে পেছনে ফেলে বিশ্বের ধনকুবেরের সেরা দশে আম্বানি 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে ২০১২ সাল থেকে জেলে আটক আছেন বাহরাইনের মানবাধিকারকর্মী আব্দুলহাদি আল-খাজা। তবে এক যুগেরও বেশি সময় জেলে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো মৃত্যু হতে পারে তার।

বাবা জেলের ভেতর ধুকে ধুকে মরবে সেটি মানতে পারছেন না তার মেয়ে মরিয়ম আল-খাজা। আর তাই বাবার বদলে নিজে জেল খাটার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১১ সালে আব্দুলহাদি আল-খাজাকে আটক করা হয়। এরপর ২০১২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাহরাইন ছাড়াও আব্দুলহাদির ডেনমার্কের নাগরিকত্ব রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জেল থেকে এখনো এ মানবাধিকারকর্মীকে বের করা যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে আব্দুলহাদির স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তাই তার মেয়ে চান জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো যেন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন তিনি।

এ ব্যাপারে মরিয়ম আল-খাজা বলেছেন, ‘আমি জানি না আমার বাবা আর কতদিন বাঁচবেন। আমি প্রতিদিন ভীতি নিয়ে বাস করছি, যখনই ফোন বেজে ওঠে; আমি মনে করি কেউ হয়ত ফোন করেছে বলার জন্য আমার বাবা আর নেই।’

মরিয়ম আরও বলেছেন, ‘আমি জানি তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু শাস্তি দিতে তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। কফিনে করে আমারা বাবা মুক্তি পাবেন, ওই সময় পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করতে পারব না। আমি এটি পারব না।‘

২০১১ সালে আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাহরাইনেও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এর জেরে পরবর্তীতে অনেক মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গুরুতর অসুস্থ বাবার জায়গায় জেল খাটতে মেয়ের আবেদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে উত্তর আমেরিকার দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। মূলত সরকারি স্বীকৃতি নেই বা অনুমোদনহীন সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে পারাপারে ইচ্ছুক আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেবে দেশ দু’টি।

বেশ কয়েকটি মিডিয়া আউটলেটের বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার এই চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে মার্কিন ও কানাডার মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, এই চুক্তির ফলে সীমান্তের উভয় পাশের কর্মকর্তারা এই ধরনের আশ্রয়প্রার্থীদের (কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায়) প্রবেশের চেষ্টার সময় ফিরিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য এবং কানাডার কুইবেক প্রদেশের মধ্যে অনুমোদনহীন বেসরকারী সীমান্ত ক্রসিং রক্সহাম রোডে অভিবাসীদের আগমন সীমিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে।

অবশ্য চুক্তির একটি অংশ হিসাবে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১৫ হাজার অভিবাসীর জন্য নতুন একটি শরণার্থী প্রোগ্রাম তৈরি করবে কানাডা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং অভিবাসন সমস্যাগুলো সম্পর্কে সিরিজ আলোচনার জন্য ২৪ ঘণ্টার সফরে এখন কানাডার রাজধানী অটোয়াতে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে এই অভিবাসন চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে তার।

মূলত এই চুক্তিটি উত্তর আমেরিকার এই দুই দেশের ২০০৪ সালের সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট নামক চুক্তির একটি সংশোধনী। ওই চুক্তি অনুসারে অভিবাসীদের প্রথম পৌঁছানো ‘নিরাপদ’ দেশে আশ্রয়ের দাবি করতে হবে, তা সেটি যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডাই হোক না কেন।

তবে নতুন এই ব্যবস্থা সেফ থার্ড কান্ট্রি চুক্তির একটি ফাঁক বন্ধ করবে। যা মূলত অনানুষ্ঠানিক বা অনুমোদনহীন ক্রসিং পয়েন্টে সীমান্ত অতিক্রমকারীদের ফিরিয়ে দিতে কানাডাকে বাধা দেয়। আর এর ফলে রক্সহাম রোডের মতো জায়গা থেকে অভিবাসীদের কানাডায় প্রবেশ ঠেকাতে পারছিল না ট্রুডোর সরকার।

এছাড়া গত মাসে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের কানাডা সীমান্তে যাওয়ার জন্য বিনামূল্যে বাসের টিকিট দেওয়ার ঘোষণা দেয় নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি বলছে, নতুন মার্কিন-কানাডা সীমান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা কয়েক মাস ধরে স্থবির ছিল। মূলত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নিজস্ব অভিবাসী সংকটে জর্জরিত মার্কিন প্রশাসন ও কর্মকর্তারা কানাডার সঙ্গে এই চুক্তিটি নিয়ে পুনরায় কাজ করতে চাননি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নতুন মার্কিন-কানাডা চুক্তি দ্রুত কার্যকর হতে পারে কারণ এর জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার চুক্তি করল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, মস্কো ও বেইজিং এ বছরের শেষ নাগাদ বৃহৎ গ্যাস পাইপলাইন পাওয়ার অব সাইবেরিয়া-২ নির্মাণে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে তিনি আশা করছেন। খবর এএফপি’র।
মস্কো এমন দেশগুলোতে গ্যাস রপ্তানি করতে চাইছে যেসব দেশ তাদের জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। ক্রেমলিন গত বছর ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সেসবের মধ্যে অন্যতম তাদের জ্বালানি খাত।
গ্যাস পাইপলাইন সাইবেরিয়া-২ প্রতি বছর চীনে ৫০ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনের সুবিধা দিতে পারে। আর এটি রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত বিতর্কিত নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনের মোট সক্ষমতার সমান।
মস্কো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নতুন এ গ্যাস পাইপলাইনের কাজ এগিয়ে যাবে। তবে এখন পর্যন্ত বেইজিংকে এ ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয় এড়িয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
জ্বালানির দায়িত্বে থাকা উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাকের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, ‘আমরা আশা করি আমাদের কোম্পানিগুলো একটি চুক্তিতে আসবে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গ্যাজপ্রম এবং চীনা কোম্পানি সিএনপিসি’র মধ্যে চুক্তির শর্তগুলো চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, মঙ্গোলিয়া ভূখ-ের মধ্য দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন রুটের নকশা তৈরির কাজ চলছে।’
এ সপ্তাহে ক্রেমলিনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে আলোচনার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, গ্যাস পাইপলাইন সাইবেরিয়া-২ প্রকল্পের বিষয়ে ‘সার্বিকভাবে ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে’।
তবে আলোচনার পর তাদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ এ গ্যাস পাইপলাইন বিষয়ে ‘গবেষণা ও পরামর্শ’ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবে।

চলতি বছর চীনের সাথে গ্যাস পাইপলাইন চুক্তি স্বাক্ষর করবে রাশিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশে পবিত্র রমযান মাসের প্রথম তারাবীহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর সারা দেশের মসজিদগুলোতে তারাবির নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

শুক্রবার ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

পবিত্র রমজানে খতম তারাবি পড়ার সময় সারাদেশে সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক দেশের সব মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজে প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবেকদরে কোরআন খতমের নির্দেশনা দেয়। দেশের সব মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিষয়টি খেয়াল রাখার অনুরোধ করা হয়।

এদিকে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দেশে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি রমজানে খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার রমজান শুরু হওয়ার ফলে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেকদর পালিত হবে। এরপর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ বা ২৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

 

বাংলাদেশে পবিত্র রমযানের প্রথম তারাবীহ নামাজ অনুষ্ঠিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছেন, তাদের ত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করো মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, নিজের দেশকে নিজেদেরই গড়ে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই দারিদ্র্যের হার আরও কমার সুখবর আসছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য আত্মত্যাগে যারা চিরস্মরণীয় তাঁরা আজও ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন জনকল্যাণে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ’৭৫ সাল থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকতে পারেনি। কাজেই বাংলাদেশ সেভাবে এগোতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। আমরা যা করছি সব পরিকল্পিতভাবে করছি। আমাদের সরকার সবসময় গবেষণায় জোর দিচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় আমরা জোর দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোষিত বঞ্চিত ও দারিদ্র মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর দেখানো  পথেই দেশের উন্নয়ন গতি ত্বরান্বিত রয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। তিনি বলেন,অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কারও মুখাপেক্ষী হবে না বাংলাদেশ।

নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে তখন বলেছিলেন বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি। আমরা বলেছিলাম নিজেদের টাকায় সেতু করব। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবে না। আমরা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলার পর বিশ্ব পরিস্থিতি সামলেও অর্থনীতির চাকা সচল রযেছে। জানান, আসন্ন রমজানে দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবে চেষ্টা করছে সরকার।

গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ থাকবে, আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতি বছরের মতো এবারও সেই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করলো রাষ্ট্র। এ বছর ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার। ৬টি ক্যাটাগরির মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দেয়া হয়েছে ৪ জনকে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে পেয়েছেন ১ জন করে। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে পেয়েছেন দুজন। আর সমাজ সেবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেয়া হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

করো মুখাপেক্ষী না থেকে দেশকে নিজেদেরই গড়তে হবে : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করেছেন।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই পুরস্কার বিতরণ করেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা জাতীয় পর্যায়ে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।
পদক প্রাপ্তদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশিদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরনোত্তর)ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
প্রয়াত ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) (মরণোত্তর) ‘সাহিত্য’ বিভাগে মনোনীত হয়েছেন এবং পবিত্র মোহন দে এবং এএসএম রকিবুল হাসানকে যথাক্রমে ‘সাংস্কৃতিক’ এবং ‘ক্রীড়া’ বিভাগে মনোনীত করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে ‘সোশ্যাল সার্ভিস/পাবলিক সার্ভিসেস’ বিভাগে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফেরদৌসী কাদরীকে ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ বিভাগে মনোনীত করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রত্যেক পুরস্কার প্রাপ্তকে একটি স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট এবং সম্মানী চেক পেয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবন বিবরণী তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ড. ফেরদৌস কাদরী নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।

৯ ব্যক্তি ও ১ সংস্থাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বুধবার (২২ মার্চ) অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন বা আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) টেলিভিশন ও অনলাইন রেডিওর নিবন্ধন প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু’র সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ বৈঠকে প্রাথমিক সংসদীয় কমিটি এ পরামর্শ দেয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটির সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, মো. মুরাদ হাসান ও খ. মমতা হেনা লাভলী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বৈধভাবে নিবন্ধিত হওয়ার পর, তাদের কার্যক্রম চালাতে হবে বলেও সুপারিশ করে কমিটি।

এতে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রদর্শিত অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সংগ্রহ করে সারাদেশে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটি বাংলাদেশ বেতারের অর্গানোগ্রামের নথি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে। সংসদীয় কমিটির ১১তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।

কমিটি দ্য সেন্সরশিপ অফ ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (সংশোধিত ২০০৬) সময়োপযোগী করে তোলার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ প্রণয়নের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুুন কবির খন্দকার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (ডিজি), প্রেস ইনফরমেশন বিভাগের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভারগ্রাপ্ত মহাপরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ, মন্ত্রণালয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনে কার্যকর পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন সংসদীয় কমিটি