27 Feb 2025, 10:59 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ২০২৩ সালের জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের সদর দফতরে সম্মেলনটির উদ্বোধনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞাপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫০ বছরে জাতিসংঘ আয়োজিত এটি প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো– জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সব অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেন, এই সহসভাপতি পদে বাংলাদেশের নির্বাচন জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের দক্ষ নেতৃত্বের ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের গভীর আস্থারই প্রতিফলন। এই অর্জন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত পানি বিষয়ক লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করার নেতৃত্ব দানে সহায়তা করবে।

রাষ্ট্রদূত মুহিত আরও বলেন, এই নির্বাচন বৈশ্বিক পানি বিষয়ক এজেন্ডায় আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলো অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপিসহ ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে।

জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের সহসভাপতি নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাউকে ভোটের মাঠে আনা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, কাউকে ভোটের মাঠে দাঁড় করানো, মানে আনা নির্বাচন কমিশনের কাজ না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের আহ্বান করতে পারি। কিন্তু তারা আসবে কী আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার না। এটাই হলো আসল কথা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, সংলাপ কাজের সুবিধা জন্য হয়। এটা করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এইটুকু বলতে পারি প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আমরা বসবো।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ২৮ মার্চ মন্ত্রিপরিষদে উঠবে। মন্ত্রিপরিষদে পাস হলে সংসদে যাবে। সংসদ যেভাবে পাস করে দেয়।

আরপিও সংশোধন হলে এটি যুগান্তকারী আইন হবে এবং এতে প্রার্থী, সমর্থক সবার আচরণগত পরিবর্তন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা (আরপিও) পাস হলে কমিশন, কমিশনের যারা ফিল্ডে কাজ করবেন প্রত্যেকের জন্য এটা খুবভালো কাজ হবে। আমাদের জন্য অনেকটাই ভালো হবে। বাংলাদেশ থেকে সবকিছু নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে অনেকটাই কমবে বলে আশা করি। শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব হবে না। দেশে ফাঁসির আইন আছে, তাই বলে কী খুন বন্ধ আছে? তা তো নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন না জানাও কিন্তু একটা অপরাধ। কোনো আইন যখন পাস হলে গেজেট হয়ে যায় তখন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ বলতে পারবেন না যে আমি জানি না। জনে জনে, ঘরে ঘরে গিয়ে তো আর আইন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। গেজেট হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে সবাই জানে।

এক বছরের মতো সময় আগে আইনটা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে অপরাধগুলোকে অপরাধ হিসেবে ছিল না। আমরা সেগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধানের সুপারিশ করেছি। গণমাধ্যমের ইকুপমেন্ট কেড়ে নেয়, সেটাও অপরাধের আওতায় আসবে। সঙ্গত কারণেই যারা এ কাজ করবে আইনটা হলে একটু হলেও মনের মধ্যে খটকা লাগবে যে, আমি এ কাজ করছি আমাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। দশজনের না হোক দু’জনের হলেও তো হলো। এতে যদি ক্ষান্ত দেয় এটাও তো বড় অর্জন।

আইন পাস হলে প্রয়োগ করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু করার করতে পারবো। বাকিটা তো বিচারের প্রক্রিয়ায় চলে যাবে। আমরা কিন্তু অতীতে প্রয়োগ করেছি। এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মারামারি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। কেবল এলেঙ্গায় নয়, অনেক জায়গায় আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি।

কোরবানির আগেই পাঁচ সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানির আগেই সব সিটি নির্বাচন শেষ করে দেবো। কোরবানির পরে আমাদের সংসদ নির্বাচনের জন্যই মনোনিবেশ করতে হবে। কেননা, অনেক কাজ। অনেক ধরনের বিষয় আছে। গাজীপুর আগে হবে। আর সেপ্টেম্বর, অক্টোবর পর্যন্ত অন্যগুলোর সময় আছে। কিন্তু আমরা এতদূর যাবো না। ২৩ মে থেকে জুনের মধ্যেই পাঁচ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনটা কবে হবে সেটা তফসিলে ঠিক হবে।

 

কাউকে ভোটের মাঠে আনা ইসির কাজ না: ইসি রাশেদা সুলতানা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের উন্নয়নে নতুন পঞ্চবার্ষিকী প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষককে আনা হচ্ছে ডিজিটাল কৃষি পরিষেবার আওতায়। দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ডও। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর থেকেই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশও। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য-নিরাপত্তা জোরদারে নানামুখী পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে সরকার চলমান কর্মসূচির বাইরে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে এতে ব্যয় হবে ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।

প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষকের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড। এর মাধ্যমে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণে ভর্তুকি ও ঋণ সহায়তার মতো বিভিন্ন সেবা পাবেন কৃষকরা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন বাড়বে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, কৃষি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।”

এছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন জমিতে উন্নত এবং দক্ষ সেচ প্রযুক্তির প্রচলন করা হবে। পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে কৃষি উদ্যোগকে জনপ্রিয় করতে ২০ হাজার নারী-পুরুষকে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ।

একই সঙ্গে ফল ও সবজির আওতাধীন এলাকা তিন লাখ হেক্টর এবং উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ দুই লাখ হেক্টরে উন্নীত করা হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্পটি শেষ হলে জিডিপিতে কৃষির অবদান বাড়বে।

ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “কৃষিকে বাণিজ্যিককরণ এবং কৃষি ব্যবসাকে সহায়তাকরণ- এগুলো হলো নতুন প্রকল্পের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে কৃষি গবেষণা এবং অবকাঠামোকে সহায়তা করা।”

কৃষির আধুনিকায়ন, বৈচিত্রকরণ ও সামগ্রিক উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে এই প্রকল্প টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে দেশের কৃষকেরা পাবেন ভর্তুকি ও ঋণ সহায়তা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রমজানে সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকাযুক্ত বড় বড় ডিজিটাল ডিসপ্লে বাজারে লাগিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সেই ডিসপ্লে স্থাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় তিনি ঢুকে পড়েন মহাখালী কাঁচাবাজারে। দোকান ঘুরে ঘুরে সব পণ্যের বাজারমূল্য যাচাই করেন। সেই সঙ্গে তিনি দোকানদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত নির্ধারিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধ করে দেবো। কেউ ছাড় পাবেন না।

বুধবার (২৩ মার্চ) মহাখালী কাঁচাবাজার পরিদর্শন এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের উদ্বোধনে এসে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

প্রথমে মেয়র দুটি মুদি পণ্যের দোকানে ঢোকেন, পরে একটি চালের দোকানে যান, সেখানে মূল্য তালিকা অনুযায়ী দোকানে পণ্যের দরদাম পরীক্ষা করেন।

এসময় মেয়র বলেন, আমরা ১১টি বাজার মনিটরিং কমিটি করে দিয়েছি। এছাড়া আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। কেউ বেশিমূল্য নিচ্ছে কি না তা জানতে আমরা মনিটরিং করবো পুরো রমজান মাস। আপনারা কেউ বেশি মূল্য নিয়েছেন এমন অভিযোগ যদি কেউ জানায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের দোকান বন্ধ করে দেবো। আমরা কাউকে কোনো ছাড় দেবো না। অন্যান্য দেশে রমজান বা অন্য কোনো উৎসব এলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য ছাড় দেয়। আর আপনারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করেন। এটা খুবই লজ্জাজনক।

তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের অবগতির জন্য ডিএনসিসির ১১টি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ প্রতিটি ১০x৬ ফুট সাইজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখাতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজান মাসে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখতে কঠোর মনিটরিং করবে ডিএনসিসি।

মহাখালী কাঁচাবাজারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাজার কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

বাজারে ঢুকে মেয়র আতিক বললেন ‘দাম বেশি নিলে দোকান বন্ধ’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মুরগির মিলগেটে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে চার কোম্পানি। আগামীকাল থেকে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশের মিলগেটে এ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে মুরগির দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো মিলগেটে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এর আগে কোম্পানিগুলো অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্রয়লার মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এরপর সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্ধারিত দামের কথা জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

এ সময় তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো আজ ২৩০ টাকায় মিলগেটে ব্রয়লার বিক্রি করেছে। কাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।

তিনি বলেন, আজ ভোর রাতে গোয়েন্দা সংস্থা ও ভোক্তার কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন সারাদেশের পাইকারিতে ২২০-২৩০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে। সেটা হাত বদলে ২৬০ হচ্ছে খুচরায়।

সফিউজ্জামান বলেন, প্রতিটি ভোক্তা এখন মুরগির দাম নিয়ে সাফার করছে। আশা করছি এ পদক্ষেপের কারণে দুই-তিন দিনের মধ্যে মুরগির দাম কমে আসবে।

তিনি বলেন, আজ কোম্পানিগুলো আমাদের বলছে ফিডের দাম বাড়ার কারণে এখন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে আমরা এও বলছি মুরগির দাম কোনোভাবেই ২০০ টাকার বেশি যৌক্তিক নয়। কোনোভাবে ৫০-৬০ টাকা বাড়তি দাম কাম্য নয়।

আমরা কোম্পানিগুলোকে বলেছি, কোন খাতে সরকার বেশি ইন্টারাপ্ট করলে সমস্যা, আমরা আপনাদের সাপোর্ট দেবো। কিন্তু বাড়তি দাম মানবো না। তাই তারা দাম কমানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে।

এখন মিলগেট থেকে দাম নিধারিত হবে। এরপর হাত বদলের দাম কতো বাড়ছে, সেটা আমরা দেখবো। গোয়েন্দা সংস্থা তদারকি করবে।

তিনি বলেন, এরপর কোনো সমস্যা হলে, সমাধান না হলে আমদানি উন্মুক্ত করে দেবো।

এসময় কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কাজী ফার্মসের কর্নধার কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, অনেক ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এ জন্য ফার্মসে দাম নির্ধারণ করে দেব। এরপর বাইরে অনেক হাতবদল হয়। তারপর দাম কত হচ্ছে, সেটা ভোক্তা অধিদপ্তর দেখবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে মুরগি উৎপাদনে ঘাড়তি হয়েছে। ৩০ বছরের ব্যবসায় এমন অবস্থা দেখিনি। সরবরাহ কম থাকার কারণে মুরগির দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমরা যে চার কোম্পানি আছি, সে নির্ধারিত দামে বিক্রি করবো। খাবারের দাম ও খরচ কমতে পারে, তখন সেটা আরও কমাবো।

সফিউজ্জামান বলেন, মার্কেট লিডাররা এ দাম নির্ধারণ করলো। বাজারে এর প্রভাব আসবে। আজ ২৩০ বিক্রি করেছে। ৪০ টাকা কমেছে। বাজারে এখন ভোক্তারা ৩০-৪০ টাকা কমে পাবে বলে আশা করি।

ভোক্তা অধিদপ্তর বলেছে, এর আগে গত ৯ মার্চ পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভায় পোল্ট্রি (ব্রয়লার) মুরগি উৎপাদন ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে পোল্ট্রি (ব্রয়লার) মুরগির মূল্য ২০০ টাকার অধিক যৌক্তিক নয় বলে প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়।

এরপর বর্তমানে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে মুরগির বাজার। খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাশাপাশি কাপ্তান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি সিলেটে ২২৬ টাকা, কুমিল্লায় ২২৪ টাকা, হবিগঞ্জে ২২১ টাকা, নরসিংদীতে ২২০ টাকা, টাঙ্গাইলে ২১৮ টাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ২১৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায় ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারককালে।

গত ৯ মার্চ যৌক্তিক মূল্যে পোল্ট্রি (ব্রয়লার মুরগি) বিক্রয় করবেন বলে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্যবসায়ীরা সেটা করেনি। বরং আরও অধিকমূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে, যা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ২১ (খ) ধারা অনুযায়ী ভোক্তা- অধিকারবিরোধী অপরাধ। সেজন্য বৃহস্পতিবার মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১৯০-১৯৫ টাকা নির্ধারণ করলো ফার্ম মালিকরা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ বুধবার (২৩ মার্চ)। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দিনটি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৫১ সাল থেকে এটি পালন হয়।

দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রজন্মান্তরে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির ভবিষ্যৎ’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘The Future of Weather Climate and Water across Generations’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিন দিন চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরাসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ায় আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অতিরিক্ত দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির কারণ জানতে ৪ প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুর দেড়টায় তাদেরকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ডাকা হয়েছে। তলব পাওয়া ৪ প্রতিষ্ঠান হলো- কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ ও প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্তি দায়িত্ব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে মুরগি বিক্রির কারণ জানতে তাদের ডাকা হয়েছে। প্রতি কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ তারা বলছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। কিন্তু, লাভের তো একটা সীমা থাকা উচিত। আমরা প্রমাণ পেয়েছি তারা ২২০ টাকা করে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে। এর কারণটা কী সেটাই জানার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে।’

 

ব্রয়লার মুরগি অতিরিক্ত দামে বিক্রির কারণ জানতে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারে তলব

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম আব্দুল খালেক তালুকদার (৭৩)। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল-১ এর ৫ নং মামলায় ২০১৫ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।

এটিইউ’র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, এটিইউ’র একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার খালেক তালুকদার নেত্রকোনার পূর্বধলার খারচাইলের মৃত রুস্তম আলী তালুকদারের ছেলে।

এটিইউ’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন আব্দুল খালেক। দীর্ঘ ৭ বছর পলাতক থাকার পর তার অনুপস্থিতিতে ট্রাইবুন্যাল ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুন্যাল) আইন ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার ৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রায়ে আরও ৪ পলাতক আসামিসহ আব্দুল খালেক তালুকদারকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল খালেক গ্রেপ্তার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম আপনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোনও বাধা নেই। পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়ে বলছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী না হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত কাগজপত্র ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে। তাকে যেকোনও সময় দুবাই থেকে দেশে ফেরত আনা হবে।

সূত্রটি জানিয়েছে, আরাভ খান বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করছে এবং দুবাইয়ের রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছে। তবে আরাভ খান যে বাংলাদেশে পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত; এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে। ইন্টারপোল এসব বিষয়ে অবগত হয়ে রেড নোটিশ জারি করেছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী না হলেও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখা। ইন্টারপোল এবং দুবাই পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এনসিবির কর্মকর্তারা। ইন্টারপোল এবং দুবাই পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কোন প্রক্রিয়ায় আরাভকে বাংলাদেশে আনা হবে— এসব বিষয়ে এনসিবির কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

সূত্রটি আরও জানায়, রেড নোটিশ জারির পর থেকেই দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে আরাভ খান। দুবাই থেকে যেন অন্য কোথাও পালিয়ে যেতে না পারেন, সে ব্যাপারেও নজরদারি বাড়িয়েছে সেই দেশের পুলিশ। এসব বিষয় দুবাইয়ের বাংলাদেশের দূতাবাস খোঁজখবর রাখছে।

এছাড়া আরাভ খান মাত্র কয়েক বছরে কীভাবে এত বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছে, এর পেছনে কারা রয়েছে; এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ থেকে সে কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেছে, ভারতে পাসপোর্ট তৈরি করে আবার কীভাবে বাংলাদেশ ঘুরে গেছে, এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সূত্রটি জানিয়েছে, দেশে এসে ঘুরে যাওয়ার পেছনে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে সহায়তা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হলেও মামলাটি পুনর্তদন্তের জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস এর ভিত্তিতে ইন্টারপোল এরই মধ্যে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল এবং দুবাই পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এনসিবি শাখা কাজ করছে।’

আরাভকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘কোনও বাধা নেই’ ; জারী হয়েছে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একজন উগ্র ডান-পন্থি ইসরাইলি মন্ত্রীর বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদে জর্দানের সংসদ দেশটিতে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে। ওই ইসরাইলি মন্ত্রী সম্প্রতি এক বক্তব্যে ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্বই অস্বীকার করেন।

জর্দানের পার্লামেন্টের ফিলিস্তিন কমিটিসহ সংসদ সদস্যদের বড় একটি অংশ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আহ্বান জানানোর পর গতকাল (বুধবার) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি হয়। এতে সংসদ সদস্যরা কণ্ঠভোটে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পক্ষে রায় দেন। এরপর  পার্লামেন্ট স্পিকার আহমেদ আল-সাফাদি ইহুদিবাদী ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোটরিচ গত সোমবার দাবি করেন, ফিলিস্তিনি জনগণ, ইতিহাস বা সংস্কৃতির কথা ইতিহাসের কোথাও নেই। তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ হচ্ছে বিগত শতাব্দির একটি আবিষ্কার।” ইসরাইলি মন্ত্রী বলেন, “আরবরা একটি কাল্পনিক জনগোষ্ঠী আবিষ্কার করে তাদেরকে ইসরাইলি ভূমিতে প্রতিস্থাপন করে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ইহুদিবাদী আন্দোলন প্রতিহত করা।” এটিকে ওই ইসরাইলি মন্ত্রী ‘ঐতিহাসিক বাস্তবতা’ বলে বর্ণনা করেন।

ইসরাইলি মন্ত্রী এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন যখন ১৯৪৮ সালের আগে পৃথিবীতে ইসরাইল নামক কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না এবং ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইল নামক একটি জারজ রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।

জর্দানের পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবে ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, তার বক্তব্যে ‘ইসরাইলি ধৃষ্টতা’র বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জর্দানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হওয়া প্রস্তাবটি এখন উচ্চকক্ষে পাস হওয়ার পর রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ তাতে সই করলে এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে।

 

ইহুদিবাদী অর্থমন্ত্রীর বর্ণবাদী মন্তব্য ; ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল জর্দান