25 Feb 2025, 01:31 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের হামেদান প্রদেশের রয়েছে ১১০০’রও বেশি গ্রাম। এর মধ্যে ‘ওয়ারকানে’ গ্রামটি অত্যন্ত দর্শনীয় ও পর্যটকদের স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো গ্রামটি রয়েছে ফার্সি, কূর্দি ও আযেরী ভাষাভাষী মানুষ। তাদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ ও পশুপালন।

হামেদানের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ‘ওয়ারকানে’ গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২৫০ মিটার উঁচু। আকাশে হেলান দেয়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গ্রাম প্রাকৃতিক বিস্ময়ের সমারোহে যেন স্বর্গীয় এক নিকুঞ্জ।

‘ওয়ারকানে’ কূর্দী শব্দ। ওয়ার অর্থ পাশ বা কিনার, আর কানে অর্থ ঝর্ণা। তাই ‘ওয়ারকানে’ শব্দের অর্থ হলে পানি বা ঝর্ণার কিনার।

‘ওয়ারকানে’র অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা বৃদ্ধি করেছে আশপাশের ‘খান’, ‘তাখতে সাঙ্গ’, ‘যেন্’ ও ‘সে বোলাগ্ব’ নামের পাহাড়ী উপত্যকাগুলো। পর্বতসংকুল এ গ্রামে রয়েছে কয়েকটি মৌসুমী ঝর্ণা বা ছোট নদী। ‘ওয়ারকানে’র পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ‘আরযান ফার্দ’ নামের একটি নদী। ভূ-গর্ভস্থ কয়েকটি খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে ‘ওয়ারকানে’ গ্রাম।

‘ওয়ারকানে’ গ্রামের প্রতিটি সড়ক এবং অলি-গলি পাথরের নির্মিত হওয়ায় আপনি পাথরের সুদৃশ্য গালিচার মধ্যে রয়েছেন বলে অনুভব করবেন। রঙিন পাথরের এইসব পথ যেন গোটা গ্রামকে অপরূপ ও সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করেছে। এই পথগুলোর পাথরের রঙ্গের সাথে মিল রেখে সড়কের পাশে ফুটপাথে রংবেরংয়ের আলোক-সজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে রাতের বেলায় মনে হবে আলোর বর্ণাঢ্য মিছিলে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে পুরো গ্রাম।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত ইরানের গ্রাম ‘ওয়ারকানে’

অনলাইন সমিান্তবাণী ডেস্ক :  পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সরকারি বিতরণ কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে আটা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন বৃদ্ধা এবং অন্যজন পুরুষ। এছাড়া হুড়োহুড়ি ও পদদলনের ঘটনায় আরও ৫৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪৫ জন নারী।

বুধবার (২৯ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশের সাহিওয়াল, বাহাওয়ালপুর, মুজাফফরগড় এবং ওকারা জেলায় বিনামূল্যে আটা কেন্দ্রে পদদলিত হয়ে এক বৃদ্ধা ও পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় ৪৫ জন নারীসহ ৫৬ জন আহত হয়েছেন। সরকার এই কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে বিতরণে অব্যবস্থাপনা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দ্য ডন বলছে, মঙ্গলবার কায়েদ-ই-আজম স্টেডিয়ামে স্থাপিত বিতরণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে আটা সংগ্রহ করতে আসা এক বৃদ্ধা পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আঘাত পেয়ে আহত হন আরও ৪৫ নারী।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আটা নিতে আসা ব্যক্তিদের যাচাই করতে ব্যবহৃত অ্যাপটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির মুখে পড়ে এবং কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বিনামূল্যে আটা বিতরণের স্থানে প্রচুর লোকের ভিড় দেখা দেয়। ভিড় জমানো এসব মানুষ সিস্টেমটি পুনরায় কাজ শুরু করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেন এবং এর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন।

বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার অ্যাপের লিংকটি ডাউন ছিল এবং তিন থেকে চার ঘণ্টার জন্য ধরে সেটি চালুই হয়নি। অন্যদিকে দেড় হাজারেরও বেশি নারী সেসময় আটা নিতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

এদিকে আটা বিতরণ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অনেক নারী পুলিশকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, সেখানে অনেক লোকের ভিড় থাকলেও কেন্দ্রে নিযুক্ত সিভিল লাইন পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ব্যক্তিদের মারধর ও লাঠিচার্জ শুরু না করা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে মারধর ও লাঠিচার্জ শুরুর পর বিশৃঙ্খলা দেখা যায় এবং এর কারণে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রশাসনের অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় এবং লোকজন ভিড় ও দীর্ঘ লাইনে আটকে অনেকে অস্বস্তিতে চিৎকার করতে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পরিবর্তে তারা লাঠিচার্জ শুরু করে। এসময় নারীদের চড় ও ধাক্কা মারতেও দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। এর ফলে ভিড় আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং পরিস্থিতির অবনতি হয়ে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিহত নারীর নাম নাসিম আক্তার। তিনি সাহিওয়াল শহরের কারবালা রোডের বাসিন্দা আমিরের স্ত্রী।

রেসকিউ ১১২২-এর কর্মকর্তা আদনান শামাস ডনকে জানান, ছয়টি জরুরি যানবাহন ও কর্মীরা আহত নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা দিয়েছেন। আহত ২৫ নারীকে আরও চিকিৎসার জন্য সাহিওয়াল টিচিং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং বাকিদের ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভি পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানে বিনামূল্যের আটা নিতে গিয়ে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পদদলনের শিকার হন। আনোয়ার দ্বীন নামের ওই ব্যক্তি পরে মারা যান। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তানে বিনামূল্যে আটা নিতে যেয়ে পদদলিত হয়ে ২ জন নিহত ; আহত ৫৬

অনলাইন সমিান্তবাণী ডেস্ক :  হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম এশিয়ার উত্তরাঞ্চলের পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা নদীর পানি দক্ষিণের অঞ্চলগুলোকে সমৃদ্ধ করেছে। নদীকেন্দ্রিক মানব বসতি গড়ে উঠেছে এবং বহু সভ্যতার জন্ম হয়েছে। এ অঞ্চলের নদী ও পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে তুরস্ক এবং এসব নদী দক্ষিণের অন্যান্য অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। কৃষি, শিল্প সব কিছুই এ পানির ওপর নির্ভরশীল।

বলা যায়, এ অঞ্চলের জাতি ও সভ্যতাগুলোর অস্তিত্বের সঙ্গে নদীর পনির সম্পর্ক রয়েছে। তবে এই পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে তুরস্কের সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা জোরদার হচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয়ে কথা বলবো। আশা করি শেষ পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গ পাব।

পৃথিবীর কিছু দেশ পানি সংকটকে অপব্যবহার করে পাহাড় থেকে প্রবাহিত পানিকে অভ্যন্তরীণ ভূমিতে ব্যবহার করে তবে একই সাথে তারা অন্য দেশকে এ মিষ্টি পানির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে যা খুবই অমানবিক। কেননা এতে করে ভাটি অঞ্চলের দেশগুলোর শহর ও গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা ব্যহত হয়।

পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক অসংখ্য পাহাড় ও নদীতে ভরপুর। দজলা, ফোরাত, আরাস ও আরভান্দের মতো গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর উৎসভূমি হচ্ছে তুরস্ক। এই নদীগুলো তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুসলিম দেশগুলোর বিশাল জনপদের শিল্প, কৃষি ও বেঁচে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বেশ ক’বছর হলো পশ্চিম এশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী পানি সংকট দেখা দিয়েছে। তুরস্ক সরকার নদীগুলোর ওপর একতরফাভাবে বাধ নির্মাণ করে নদীর গতিপথ বদলে দিয়েছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা চাইছেন দজলা, ফোরাত, আরাস ও আরভান্দ নদীর পানি দেশের অভ্যন্তরেই ব্যবহার করতে। একদিকে, দজলা নদীতে তুরস্কের বাধ নির্মাণ প্রকল্প অন্যদিকে বৃষ্টির স্বল্পতার কারণে গত কয়েক বছরে ইরাকে মারাত্মক পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

তুরস্ক সরকার দজলা ও ফোরাত নদীর উজানের এলাকায় পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়া এলাকার নদীগুলোর ওপর এ পর্যন্ত ২২টি বাধ ও  (gap) ‘গ্যাপ প্রকল্প’  নামে পরিচিত ১৯টি জল প্রকল্প নির্মাণ করেছে। এর ফলে ইরাক ও সিরিয়ার নদীর পানি অনেক শুকিয়ে গেছে এবং এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়েছে ওই অঞ্চলের জনগণ ও ভূ-প্রকৃতির ওপর।

ইরাকের কর্মকর্তারা বহুবার বলেছেন, দজলা ও ফোরাতের মতো আন্তর্জাতিক নদীর পানি ন্যায়ভিত্তিক বণ্টনের বিষয়ে যদি তুরস্কের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না হয় তাহলে ইরাকে মারাত্মক পানি সংকট দেখা দেবে এবং এর ফলে ইরাকের কৃষি ও খাবার পানির পরিমাণ ৫৪ শতাংশ হ্রাস পাবে যা কিনা তাদের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।  উল্লেখ্য, দজলা ও ফোরাত নদীর পানি তুরস্ক থেকে শুরু করে ইরাক ও সিরিয়ার ওপর দিয়ে দুই হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তা পারস্য উপসাগরে গিয়ে মিশেছে।

মৃতপ্রায় দজলা নদীর করুণ  চিত্র

ইরাক ও সিরিয়ার কর্মকর্তারা সম্প্রতি এক বৈঠকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে সম্মত হয়েছে।

এর আগে তুরস্কের কর্মকর্তারা ওই দুই দেশের কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করায় গত বছর অক্টোবরে দামেস্কে ইরাক ও সিরিয়ার বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং নদীর পানি আটকে দেয়ার তুরস্কের পদক্ষেপের পরিণতির বিষয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বৈঠকে ইরাকের পানি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে পানির অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে ইরাক ও সিরিয়ার গুরুত্বারোপের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই দুই দেশের সহযোগিতা পানি আদায় ও এ অঞ্চলের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে।

দামেস্ক ও বাগদাদ দজলা ও ফোরাত নদীর পানির প্রবাহ কমিয়ে দেয়ার তুর্কি পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এতে করে এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। দুই দেশই অভিযোগ করেছে নদীর ওপর তুরস্কের বাধ নির্মাণের ফলে নদীর উজানের বিশাল এলাকাজুড়ে মরুকরণ শুরু হয়েছে এবং আবহাওয়ায় পরিবর্তন এনেছে।

এদিকে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানও তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ আরাস নদীর ওপর বাধ নির্মাণ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা একে বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে। ইরান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ কমিশনের ১৭তম বৈঠক শেষে ইরানের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আলী আকবর মেহরানিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, এই নদীর সাথে কয়েকটি দেশ সংযুক্ত থাকলেও এ দেশগুলোর সাথে কোনো সমন্বয় না করেই তুরস্ক সরকার বাধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বাধ নির্মাণ ও পানি বণ্টনের বিষয়ে এ দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের আহ্বান জানান। কেননা তুরস্ক যেভাবে বাধ নির্মাণ শুরু করেছে তাতে আরাস নদীতে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে  পারে।

ইরানের কর্মকর্তারা বহুবার তুরস্কের কাছে এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা  জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য দুদেশের কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠকেও মিলিত হয়েছেন। তুরস্কের কর্মকর্তারা বারবারই ইরানকে এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে ইরানসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশের উদ্বেগ দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইরান সবসময়ই বলে আসছে আরাস নদীর সাথে যুক্ত দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে ন্যায়সঙ্গতভাবে পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান, ইরাক ও সিরিয়া এমন সময় অভিন্ন নদীগুলোর ওপর তুরস্ক সরকারের বাধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিবাদ জানিয়েছে যখন আরাস নদীর সাথে যুক্ত আজারবাইজান সরকার এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। কারণ তুরস্কের সাথে আজারবাইজানের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো। এ অবস্থায় আজারবাইজান কোনো প্রতিবাদে যেতে চায় না যাতে ভবিষ্যতে দেশটির জনগণের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। বিশেষজ্ঞরা তুরস্কের ব্যাপারে আজারবাইজান সরকারের এ নীতি অবস্থানকে আরাস নদীর সাথে যুক্ত আজারবাইজানসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশের সরকার ও জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করেন। অথচ আরাস নদীতে বেআইনিভাবে তুরস্কের বাধ নির্মাণের ফলে আগামীতে যে দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে তার মধ্যে অন্যত হচ্ছে আজারবাইজান।

গত বেশ ক’বছর ধরে তুরস্কের বাধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলোতো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই এমনকি তুরস্কের জনগণও এ ক্ষতির বাইরে নয়। বাধ নির্মাণের ফলে তুরস্কের অভ্যন্তরেও বিরাট অংশে পানি সংকট ও শুষ্ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেকেই হয়তো এতে অবাক হবে কেননা তুরস্কের বাধের কারণেই গত কয়েক বছরে ইরাক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ পানি সংকট ও মরুকরণ শুরু হয়েছে। এতে সমগ্র ওই অঞ্চলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে ইরানও তুরস্কের বাধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইরানের সংসদে মাহাবাদ এলাকার প্রতিনিধি জালাল মাহমুদ যাদেহ বলেছেন, তুরস্কের এ পদক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এতে করে ইরানের অংশেও মারাত্মক পানি সংকট দেখা দেবে। ইরাকের কর্মকর্তারাও বলেছেন, তুরস্কের বাধ নির্মাণের ফলে দজলা ও ফোরাত নদীর পানি এরই মধ্যে শুকিয়ে গেছে এবং কৃষিকাজ ব্যহত হচ্ছে। এ ছাড়া পানির অভাবে ধুলাবালি উড়ে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরে তুরস্ক সরকার ইরাক ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে অসম ও সর্বাত্মক যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তুরস্ক বাধ নির্মাণ করে পানি অস্ত্র ব্যবহার করছে যাতে ওই দেশগুলোর কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নেয়া যায়। রজব তাইয়্যেব এরদোগান নিজেকে মুসলিম দরদি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও বাস্তবে পানি বন্ধ করে দিয়ে বিশাল এই মুসলিম ভূখণ্ডকে শুকিয়ে মারার চেষ্টা করছে যা কিনা খুবই অমানবিক ও বর্বরতা।#

 

তুরস্কের বাধ নির্মাণে মুসলিম দেশগুলোর নদী শুকিয়ে যাচ্ছে ; পরিবেশ বিপর্যয়ে গোটা অঞ্চল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইরান কোনো সীমারেখা মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি। তিনি গতকাল (সোমবার) তেহরান সফররত কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুলআজিজ আল-খুলাইফির সঙ্গে এক বৈঠকে তার দেশের এ অবস্থান তুলে ধরেন।

শামখানি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি প্রতিবেশী-বান্ধব যে কূটনীতি চালু করেছেন তার ফলে সবগুলো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে তেহরান। আর এক্ষেত্রে কোনো সীমারেখা মানা হবে না।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি ইরানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে মনযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় দোহাকে ধন্যবাদ জানান শামখানি। তিনি বলেন, তেহরান ও দোহার মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বসুলভ ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেল হয়ে উঠতে পারে। ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাতারের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বৈঠকে কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভুয়সী প্রশংসা করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে তিনি জানান। আল-খুলাইফি বলেন, ইরানের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা শক্তিশালী করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় কাতার। তিনি বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইরান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ ওমরাহযাত্রী নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী ওই বাস আকাবা শার নামক এলাকার একটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উলটে যায় ও একপর্যায়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল-এখবারিয়া জানায়, রেড ক্রিসেন্টের একটি দলসহ জরুরি সংস্থাগুলো দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে। আহত যাত্রীদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।

এদিকে সৌদি আরবের কোনো রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমই ঠিক কী কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটলো, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেনি। শুধু বলা হচ্ছে, ‘বাসটির সমস্যা’ হয়েছিল। তবে বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল।

এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছাকাছি এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছিলেন।

এর আগে রমজানে কেউ বারবার ওমারহ পালন করতে পারবে না বলে জানায় সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ এই সময়ে একজনে একবারই ওমরাহ করার অনুমোদন পাবে।

সৌদি সরকারের দাবি, যারা রমজানে ওমরাহ পালন করতে চান, তাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত সুবিধাজনক হবে। পবিত্র এ মাসে মানুষ স্বস্তির সঙ্গে ওমারাহ পালন করতে পারবে বলেও জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, যারা হজ করতে চায় তাদের নুসুক অ্যাপ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। নির্ধারিত সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও জানানো হয়।

তবে ওমরাহ’র তারিখ পরিবর্তনের কোনো অপশন নেই। তাই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডিলিট করে ফের নতুন করে অনুমোদন নেওয়া যাবে।

মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে আরও জানিয়েছে, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো পর্যায়ক্রমে আপডেট করা হয়। কেউ যদি কাঙ্ক্ষিত আসন খালি না পান, তাহলে পরবর্তী তারিখের জন্য অনুসন্ধান করতে পারবেন। সূত্র: গালফ নিউজ

 

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত ; আহত ২৯ জন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরে রোজার প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) তুলকারেম শহরে এ ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৫ বছর বয়সী আমির আবু খাদিজেহ।

ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আবু খাদিজেহের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছার পর তার হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বন্দুক হামলার সন্দেহভাজন এক ফিলিস্তিনিকে ধরতে অভিযান চালায়। তারা। এসময় গুলিতে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।

তুলকারেম ব্রিগেড, গত এক বছরে পশ্চিম তীরে সক্রিয় হওয়া বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে একটি। আবু খাদিজেহ এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছে তারা।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের মুরাদ দ্রৌবি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী তুলকারেমের একটি এলাকা শুফায় হামলা চালায়।

আবু খাদিজেহ যে বাড়িতে ছিলেন ওই বাড়ির মালিককেও আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত বছরও রমজান মাসে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

গত রোববার ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা শারম আল-শেখে মার্কিন, মিশরীয় ও জর্ডানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তারা সহিংসতা হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

গত একবছরে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পশ্চিম তীরে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে বন্দুক হামলায় ৪০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি এবং তিনজন ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

রোযার প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১ ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ২৪ মার্চ (শুক্রবার) পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত জানান জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসে। ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে বুধবার (২২ মার্চ) কোথাও ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ২৪ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে।

সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৮ এপ্রিল ২৬ রমজান মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নজরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবদুল কাদের শেখ, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইরতিজা হাসান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (অর্থ) জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রোজা ইসলামের ৫ স্তম্ভের একটি। প্রতি বছর অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করা হয়। এক মাস সংযম পালনের পর মুসলমানরা শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।

রমজান শুরুর জন্য চাঁদ দেখা আবশ্যক। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। যদি আকাশ তোমাদের কাছে মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে তোমরা ৩০ দিন পূর্ণ করো।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৮১)

এছাড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘লোকেরা রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করছিল, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালাম, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি রোজা রাখলেন এবং অন্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন।’ (সুনানে আবি দাউদ)

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি ; রমযান শুরু শুক্রবার থেকে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাদশাহ সালমান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। ইরানের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।

সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে চিঠি দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। ওই চিঠিতে তাকে সৌদি সফরেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ জামশিহিডি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি পুনরায় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর অংশ হিসেবে দেশ দুইটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আলোচনার পর সৌদি আরব ও ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক পোস্টে আক্রমণ করার পর ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল দেশটি।

 

সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণকে স্বাগত জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি