25 Feb 2025, 01:30 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি মারাত্মক বিপর্যয় দেখা যায় সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ওই এলাকায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু এবার সেখানে ভারি বৃষ্টির পর বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক ডজন ক্যাম্প পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।

সিরিয়ার একটি সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইদলিব প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই সম্প্রতি ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়। সেখানের রাস্তাগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানান, হাফসারজাহ ও বিশমারুন শহরের ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া আদওয়ান গ্রামে মার্কেট ধসে পড়েছে।

তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর সেখানে বেশ কিছু ক্যাম্প তৈরি করা হয়। এক একটা ক্যাম্পে অসংখ্য তাঁবু রয়েছে। এবারের ভারি বৃষ্টিতে ৪০টির বেশি ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে যে ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।

 

সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার জায়গাটুকুও এবার বন্যার কবলে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইয়াজান ওমর জামিল খাসিব (২৩)। ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লার কাছে উত্তরাঞ্চলীয় এল-বিরেহ শহরে শুক্রবার (১৭ মার্চ) এই ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণা থেকে বিষয়টি জানা গেছে। শনিবার (১৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছিলেন ওমর। তবে ইসরায়েলি সেনাদের কেউ তেমন আহত হয়নি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মতে, ওমরের ওপর সন্দেহ হলে তার পরিচয় জানতে চায় ইসরায়েলি সেনারা। এরপরে তিনি ছুরি দিয়ে তাদের ওপরে হামলা করলে তারা গুলি করে। এতে যুবকের মৃত্যু হয়।

এ বছরের শুরু থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৮৪ ফিলিস্তিনি এবং ১৪ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক কিশোরসহ অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এক সপ্তাহ আগেও জেনিন শহরে অভিযান চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যার ৪৮ ঘন্টারও কম ব্যবধানে একই শহরে আরও ৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলী সেনাদের গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত দেড় বছর ধরে আফগানিস্তান বন্ধ আছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেই বিতাড়িত করা হচ্ছে নারীদের।

নারীশিক্ষা ফের চালু করতে তাই দেশটিতে আলেমদের বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএনআই।

উত্তর আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় গত ১৬ ও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ওআইসির ৪৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথমদিন এই জোটের মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা এক ঘোষণায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারটিতে ওআইসি খুবই উদ্বিগ্ন।’

‘ইসলামের সঙ্গে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো বিরোধ নেই। ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কয়েকজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল দেশটিতে যাবে এবং আফগানিস্তানে নারীশিক্ষা ফের চালু করতে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।’

তিনি আরও জানান, এই আলোচনা ও বৈঠকের ব্যাপারটি এখানেই শেষ হবে না; ওআইসির প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলও ওআইসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসবেন।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে, ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির জাতীয় ক্ষমতা দখল করে তালেবান।

কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশজুড়ে সহশিক্ষা (কো-এডুকেশন) স্কুলগুলো নিষিদ্ধ করে; পাশপাশি বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল।

তালেবান নেতারা অবশ্য বলেছিলেন, কিছু সমস্যার কারণে মেয়ে স্কুলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে— পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সেগুলো চালু করা হবে। এমনকি তারা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন— ২০২২ সালের ২৩ মার্চ খুলে দেওয়া হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তোলো নিউজকে বলেন, ‘নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আমাদের সামনে আছে— সেগুলো সমাধানের চেষ্টা আমরা করছি….কিছুটা সময় লাগছে, কিন্তু আশা করছি শিগগিরই সেসব সমাধান হবে।’

 

আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা পুনরায় চালু করতে দূত পাঠাচ্ছে ওআইসি