23 Jan 2025, 11:04 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর জীবন মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা এখন সমার্থক। এই উন্নয়নের গতিকে আরো বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত একটি দেশে রূপান্তর হবে।

ড. রাজ্জাক রোববার কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আজ এখানে সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও অগ্রগতি নিয়েও  প্রচারণা চালাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর অংশ হিসাবে কলকাতায় এটির আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত কমিটি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছেন, যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে।

সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক ইনডেক্সগুলিতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দারিদ্রতা অর্ধেক কমে ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হয়েছে। অতি দরিদ্র যেখানে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। আমরা উভয় দেশই সব দিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দুইদেশের মধ্যে এই সুসম্পর্ক আজীবন অটুট থাকবে।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিশেষ অতিথি হিসাবে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছেন : কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ তাঁর নিজ জেলা গোপালগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং অপর পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় তিনি বাটন চেপে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
এরআগে, বেলা ১২টা ৪০মিনিটে শেখ হাসিনা কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত বিশাল জনতা বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনিও হাত নেড়ে সাড়া দেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কোটালিপাড়া আগমন উপলক্ষে সারা জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপড়া-কোটালিপাড়া) আসনের এমপি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার চার বছর পর এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দেন।
আগের নির্বাচনী সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কোটালীপাড়া উপজেলার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে।
৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পাইপলাইনে পানি সরবরাহের দু’টি গ্রামীণ প্রকল্প। এর একটি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নে এবং অপরটি কোটালিপাড়া উপজেলার রামশিল ইউনিয়নে। গোপালপুর ইউপি অফিস-কাজুলিয়া ইউপি ভায়া বোরাইহাটি পোলশাইর বাজার সড়কে ২৪ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ ও কুশলি জিসি-ধারাবাশাইল জিসি ভায়া মিত্রাডাঙ্গা সড়কে ৯৯ মিটার গার্ডার ব্রিজ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সোনাখালি সড়ক, কোটালিপাড়ায় চারতলা বিশিষ্ট শুয়াগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের তিনতলা বিশিষ্ট গার্ল হোস্টেল (১শ’ শয্যা), কোটালিপাড়া এসএন ইনস্টিটিউটের চারতলা বিশিষ্ট শিক্ষা ভবন, কোটালিপাড়া পৌর কিচেন মার্কেট ও কোটালিপাড়া উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ, কোটালিপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল লাইব্রেরি, কোটালিপাড়ায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক বাড়িতে ‘মুক্তমঞ্চ’, কোটালিপাড়ার উত্তর কোটালিপাড়া রামমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বাজারে একতলা বাণিজ্যিক ভবনকে ১০তলায় উন্নীতকরন ভবনের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী গণপূর্ত বিভাগের আওতায় গোপালগঞ্জ জেলা তথ্য কমপ্লেক্স ভবন ও কোটালিপাড়া মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন ভাঙ্গারহাট বাজার উন্নয়ন ও কোটালিপাড়া উপজেলায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ম্যুরাল নির্মাণ এবং কোটালিপাড়া উপজেলা পরিষদের আওতায় ১১টি ইউনিয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণের পরপরই তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রার্থনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আজ বিকেলে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।  তিনি দিনব্যাপী তাঁর নিজ জেলা সফরের জন্য আজ সকালে পদ্মা সেতু হয়ে সড়ক পথে গোপালগঞ্জে পৌঁছান।

গোপালগঞ্জে ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী