অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আরও দুই শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানিয়েছে যে, ওই শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিশুও নিহত হয়েছে।
একটি বেনামি সূত্র ওয়াফা নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে যে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও হামলার ঘটনায় আরও বহু হতাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
এর আগেও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী। একদিন আগেই সেখানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৭ জন নিহত হয়। মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।
ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় প্রায় ২০০ ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশিই শিশু। গাজার চারদিকে অবস্থান করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ কোনো কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ হতাহত হচ্ছে। এর মধ্যেই খাবার, বিদ্যুৎ এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
এর মধ্যেই হামাসের সঙ্গে একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, আগামী চার দিনে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
Leave a Reply