November 4, 2025, 7:40 am
শিরোনামঃ
আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার : আইন উপদেষ্টা সংকটময় মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে আসন্ন নির্বাচন : সিইসি বিতর্ক সত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েক নোয়াখালীতে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা দাহ কুমিল্লায় সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি পটুয়াখালীতে বাসে অভিযান চালিয়ে ১৪০০ কেজি জাটকা জব্দ যুদ্ধের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ট্রাম্প বললেন ‘ভেনিজুয়েলার নেতা মাদুরোর দিন শেষ’ ইসরাইলকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস রাশিয়া ও চীন পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে : ট্রাম্প 
এইমাত্রপাওয়াঃ

আগামী সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আগামী সেপ্টেম্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।’

তিনি বলেন, ‘মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে  সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় এবং আনুষঙ্গিক কাজগুলো এখন শেষ করা হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।’

চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ২.৪৫ কিলোমিটার। মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে একটি ৭২৭ মিটার ফ্লাইওভার থাকছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, টানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং কাজের বর্তমান অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো টানেলটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় এবং আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করছি। ইতিমধ্যে আমরা অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করেছি। এখন টানেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা কাজ চলছে।’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই টানেলটি হয়ে উঠবে ‘দুই শহরের এক নগরী’ এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হওয়া প্যাসেজওয়ে।

তারা বলেন, টানেলটি সঠিক পথে বাংলাদেশের জন্য একটি বাস্তব পদক্ষেপ, যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং দেশের মানুষের জীবনমান প্রভূত উন্নত করবে। এর আগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছে সরকার।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে আংশিকভাবে মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২ শতাংশের বেশি বাড়বে।

তবে পিডি বলেন, দুটি টিউবের চার লেনের কাজ শেষ হওয়া ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের প্রথম টানেলটি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

তিনি বলেন, ‘টানেলটি চালু হলে, এটি দেশের বাকি অংশের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে।’ – বাসস

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page