অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া সবগুলো ভোটকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাইরে পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আবদুল বাতেন বলেন, ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়। এজন্য ভোটগ্রহণের শুরু থেকে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পোলিং এজেন্টরা নিজ নিজ জায়গায় বসে থাকবেন। কেউ গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। আশা করি, সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
রংপুর সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ২২৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৪৯টি কক্ষে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এবার মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
Leave a Reply