অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আগুনসন্ত্রাস করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বর্তমানে সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলেও মনে করেন তারা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন বক্তারা। সেমিনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের রূপ বদলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণে দেশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশন- সবই সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভাবনার দিগন্তে উড়ছে পতাকা। তার একনিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এমন অভূতপূর্ব সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রশংসনীয়। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বর্তমানে সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজনৈতিক অস্থিরতাসম্পন্ন এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন তখন বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৯৯ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাজেটের আকার প্রায় ৭৬২ শতাংশ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব হ্রাস এবং এইচডিআই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। শেখ হাসিনার মতো এমন দূরদর্শী নেতা না থাকলে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের পরিপূরক। স্বাধীনতার পর মাত্র ৩ বছরে বঙ্গবন্ধুর একান্ত প্রচেষ্টায় জিডিপির দিক দিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রগতিশীলরা ক্ষমতায় থাকলে দেশে সব ধরনের উন্নয়ন হয়, এটাই প্রমাণ করলেন শেখ হাসিনা। যাদের রাজনীতিতে পরমতসহিষ্ণুতা নেই, তাদের রাজনীতি কখনো প্রগতিশীল হতে পারে না। তারা দেশ, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জন্য কখনোই শুভকর হতে পারে না।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন বঙ্গবন্ধু। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জনগণের ভোটে ও সমর্থনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত অদম্য বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রূপকার শেখ হাসিনা। এই অদম্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আগুন সন্ত্রাস করে রুদ্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষের ভোটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার মাধ্যমে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমদ।
Leave a Reply