অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভুয়া মানহানির মামলা দায়ের করায় এবার ১ লাখ ২২ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলসের একটি আপিল আদালত। খবর এপির।
ট্রাম্পকে যখন ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল একই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় সিদ্ধান্তটি দেওয়া হয়িছিল। মার্কিন ইতিহাসের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
পর্ন তারকা ড্যানিয়েলস এবং প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডুগালের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ট্রাম্প ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি এই টাকাকে ব্যবসায়িক খাতে ব্যয় হিসেবে দেখিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এরকম ৩৪টি অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
ড্যানিয়েলস, যার আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড, অভিযোগ করেছেন ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল এবং ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েক দিন আগে একটি অপ্রকাশ্য চুক্তির অংশ হিসেবে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রদান করা হয়েছিল।
তিনি ‘সম্পূর্ণ ভুল কাজ’ হিসেবে ট্রাইস্ট সম্পর্কে চুপ থাকার হুমকি দেওয়ার দাবি খারিজ করার পরে তিনি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। একজন বিচারক ২০১৮ সালে মামলাটি ছুড়ে দেন।
মঙ্গলবার নবম ইউএস সার্কিট কোর্ট অব আপিলের একজন কমিশনার রায় দিয়েছেন যে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিরা মামলার আপিলের জন্য ১৮৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ‘যৌক্তিকভাবে ব্যয় করেছেন’ কিন্তু অন্যান্য ফিতে আরও ৫ হাজার ১৫০ ডলার দেওয়ার অনুরোধ অস্বীকার করেছেন কারণ এটি আইটেমাইজ করা হয়নি।
সব মিলিয়ে ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের আইনি ফি বাবদ ৬ লাখ ডলারের বেশি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তার অ্যাটর্নি হারমিত ডিলন টুইট করে জানিয়েছেন। এতে প্রায় ৩ লাখ ডলার অ্যাটর্নি ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ড্যানিয়েলসকে আগে পরিশোধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
একটি ফেডারেল আপিল আদালত গত বছর সেই জরিমানা বহাল রাখার পর, ড্যানিয়েলস বলেছিলেন, ‘আমি একটি পয়সা দেওয়ার আগে জেলে যাব।’
Leave a Reply