অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিচ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা এখানে তুরে ধরা হলো : জানুয়ারির শুরুতে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিরোধীরা। তারা দেশের রাস্তাঘাট ও রাজনীতির পরিবেশ উত্তেজিত করে তুলেছে। কিন্তু রাজনৈতিক সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্দলীয় নির্বাচন প্রশাসনের ‘এক দফা দাবি’তে ‘মহা সমাবেশ’ কর্মসূচি দিয়েছিল। এই সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলও অংশ নিয়েছিল যাকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিরোধীদের চূড়ান্ত অবস্থান হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে একই দিনে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেছে আওয়ামী লীগ। যাকে দলটির জনপ্রিয়তা প্রদর্শনের অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিন রাজপথে সব রাজনৈতিক দল থাকায় একদিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ও অন্যদিকে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। দিনব্যাপী রাজপথ ছিল উত্তাল। ভিডিও ফুটেজে উভয় পক্ষকেই সহিংসতায় জড়াতে দেখা যায়।
এদিকে, বিরোধী দলের সমর্থকরা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে ও বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। তারা একটি পুলিশ হাসপাতালে আগুন দেয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা করে। এমনকি বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে তারা।
ঘটনার পর বিএনপির দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সমর্থকদেরকে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। তাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নাশকতা করানো হয়েছিল। কিন্তু সহিংসতা ও সম্পত্তি ধ্বংসে দলটির ভূমিকার কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির মহাসচিবসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। আওয়ামী লীগ বলেছে, রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য বিএনপিকে শাস্তি পেতে হবে। আর বিরোধী দল ও অধিকার গোষ্ঠীর দাবি, আইনশৃঙ্খলার আড়ালে অন্যায়ভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ভেস্তে দিচ্ছে।
এই সমাবেশের পর থেকে বিরোধী দল তাদের কৌশল বদলেছে। তারা জনবিক্ষোভ থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘট ও অবরোধের নামে সারা দেশে পরিবহন ও বাণিজ্য অচল করে দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতৃত্বাধীন অবরোধের প্রথম দুই সপ্তাহে অন্তত ১০০টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপির ফের দাবি, এসবের পেছনে সরকারের যোগসাজশ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে দলটির (বিএনপির) সমর্থকরাই বেশিরভাগ ঘটনার পেছনে জড়িত।
সরকার বলছে, এসব অবরোধ ও সহিংসতা অতীতের অনেক ব্যস্ত পাবলিক স্পেস জনশূন্য করে রেখেছে, অর্থনীতির বিলিয়ন বিলিয়ন ক্ষতি করেছে।
Leave a Reply