November 2, 2025, 10:03 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালন ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা কার্যালয়ের সামনেই ময়লার ভাগাড় ; দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ইজারা বাতিলের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের গণ-অনশন প্রবীণদের প্রতি রাষ্ট্রের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে একক এনআইডি‘র বিপরিতে ১০টির বেশি সিম জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই : বিএনপির মহাসচিব বিভিন্ন দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় জামায়াতকে নিষিদ্ধের আহ্বান জানালেন আলাল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের চাল ও সবজিতেও ক্ষতিকর আর্সেনিক ; ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য নাটোর প্রেসক্লাবের নির্বাচনে শহীদুল সভাপতি ; কামরুল সম্পাদক নির্বাচিত
এইমাত্রপাওয়াঃ

ইভিএম মেরামতের টাক না পেলে ভোট হবে ব্যালটে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের টাকা চেয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা চাইবে তারা। সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আনিছুর রহমান এ কথা বলেন। টাকা পাওয়া না গেলে ইভিএমে ভোট অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও তিনি জানান।

ইসির তথ্যমতে, বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া দেড় লাখ ইভিএম মেশিনের মধ্যে এক লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করতে হবে। পাশাপাশি বাকি ৪০ হাজার মেশিন ব্যবহারের প্রায় অযোগ্য। এক লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেওয়ার জন্য বলেছি। ইভিএম মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। সেটা পাওয়া যাবে কিনা, নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটা চিঠি দিতে বলেছি। সেটা রেডি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) যেতে পারে।

টাকার নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অর্থবছরভিত্তিক টাকা চাইবো। চলতি অর্থবছরে অর্ধেক, পরবর্তী অর্থবছরে বাকি অর্ধেক দেওয়ার জন্য একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকার সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে কী করবো, ব্যালটে কতটা করবো বা ইভিএমে আদৌ করবো কিনা। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, আমরা একেবারে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকবে পারবো না। আমরা যদি টাকা হাতে পাই এরপরও ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে মেরামত করার জন্য। কাজেই আমরা তো মনে করি এখনই হাইটাইম।

তিনি আরও বলেন, টাকা পাওয়া না পাওয়াটা (চিঠির জবাব) যদি আমরা আগামী কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে যাই; আগামী সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে যদি পেয়ে যাই, তাহলে কিন্তু হাতে ছয় মাস সময় পাবো। অন্যথায় কিন্তু সময় পাবো না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ, এক লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি তাহলে ৭০, ৮০ যে সংখ্যাটা (আসন) হয়, আমরা যেতে পারবো। না হলে তো পারবো না। বা করবো কিনা তা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার।

তিনি বলেন, আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম যে টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। আর যদি না দেয় সেজন্যেই সর্বশেষ একটা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার কোনও বরাদ্দ না দিলে কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি  বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আবার কমিশনে আসবে এটা, কমিশন তখন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। সেটা এখন বলার সুযোগ নাই।

কতগুলো আসনে ইভিএমে করতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘সেটাও এখন পর্যন্ত পর্যালোচনা করে দেখিনি। যেগুলো আমাদের হাতে আছে সেগুলোসহ তো এক লাখ ১০ হাজার মেরামতযোগ্য। আরও ৪০ হাজার মেরামত করলেও ব্যবহারযোগ্য হবে না। কাজেই আমরা এক লাখ ১০ হাজারকেই মেরামত করবো। আর যদি আংশিক পাওয়া যায় বা কী হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে তখন।’

সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে ১৮০ আবেদন

সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে এখন পর্যন্ত ১৮০টা আবেদন পাওয়া গেছে জানিয়ে কমিশনার আনিছুর বলেন, আরও দুই চারটা বিভিন্ন দফতরে থাকতে পারে। আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করা হবে। কোনও আসনে কতটি আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে সচিবালয়। আসনভিত্তিক ভাগ করলে বোঝা যাবে কোন আসনে কতটা আবেদন পড়েছে। এরপর কমিশনে প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না তখন নির্ধারণ হবে।

আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আগে আসনভিত্তিক বিন্যাস হোক তারপর। বর্তমান সীমানাই বহাল রাখার আবেদন যারা করেছেন তাদের আবেদন তো আর আমলে নেওয়ার দরকার নেই। যদি বিপক্ষে কেউ বলে থাকে তখন শুনানির দরকার আছে। একই আসনে পক্ষে-বিপক্ষে এমন থাকতে পারে। কোনোটায় আবার নতুন কোনও আবেদন থাকতে পারে। এটা যখন বিন্যাস করা হবে তখনই বোঝা যাবে, কে কী চেয়েছে। এটা করতে একটু সময় লাগবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটু আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ অবস্থান জানতে পারলাম। এটা এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। আইনমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন, তিনি ২৮ তারিখে ফিরবেন সম্ভবত। এরপর হয়তো মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উঠবে। আমি তো মনে করি পরবর্তী অধিবেশনে এটি জাতীয় সংসদে উঠতে পারে। আমরা যে রকম প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম মোর অর লেস ওই রকমই আছে। আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়ে গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা আপনারা পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, দেখা যাক। সংসদে যাওয়ার আগে কেবিনেট অনুমোদন করবে। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অনুমোদন হতেও পারে নাও হতে পারে। আরও কয়েকটা স্টেপ বাকি আছে। কাজেই এই কথাগুলো বলার মনে হয় এখন উপযোগী পরিবেশ না।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page