অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নারীরা ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী পোশাক না পরলে শাস্তি পেতে হবে। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি এজে এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মাধ্যমে ইরানে কয়েক মাস বিক্ষোভের পর পুরনো আইনকে আরও জোরদার করেন তিনি। গত বছরের শেষ কয়েক মাসে নারীদের জন্য এই ড্রেস কোডের কারণে ইরান সমালোচনার মুখে পড়ে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাহশা আমিনি নামে এক তরুণী কুর্দি তার ভাইয়ের সঙ্গে তেহরানে যান এবং সঠিক হিজাব না পরার কারণে দেশটির নীতি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় পুলিশি নির্যাতনের কারণে তিনি কোমায় চলে যান এবং তিন দিন পরে তার মৃত্যু হয়।
মাহশার মৃত্যু কয়েক মাস ধরে ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়। বিক্ষোভে কয়েক লাখ মানুষ মারা যায়। অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারের নামে বেশ কয়েকজনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। সরকারের চরম দমন-পীড়নের কারণে বিক্ষোভ এখন অনেকটাই শান্ত।
এরই মধ্যে দেশটির বিচার বিভাগীয় প্রধান মোহসেনি সোমবার (৬ মার্চ) ইরানে নারীদের পোশাকের কথা আবার মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘একজনের হিজাব অপসারণ ইসলামী প্রজাতন্ত্র এবং এর মূল্যবোধের প্রতি শত্রুতা প্রদর্শনের সমতুল্য। যারা এ ধরনের অস্বাভাবিক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা শত্রুর সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করে এমন পাপ করে তাদের শাস্তির জন্য বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের সহায়তায় কর্তৃপক্ষের দ্বারা সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply