অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলন আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরাইলি মালিকানাধীন কিংবা ইসরাইলগামী জাহাজ ছাড়া আন্তর্জাতিক পানিসীমা দিয়ে অন্য যেকোনো জাহাজ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। হুথি মুখপাত্র মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইউরোনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ইসরাইলগামী কিংবা ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজ ছাড়া অন্য কোনো জাহাজে হামলা করা হয় নি এবং ভবিষ্যতেও করা হবে না।
গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এছাড়া, হুথি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছে- ইসরাইল অভিমুখী যে-কোনো দেশের জাহাজ আটক করবে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী। এই ঘোষণার পর আমেরিকা লোহিত সাগরে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে।
ওই টাস্ক ফোর্স প্রত্যাখান করে ইয়েমেন বলেছে, দেশটির স্বার্থে কোনো ধরনের আঘাত এলে সরাসরি মার্কিন রণতরীতে হামলা করা হবে। আব্দুস সালাম ইউরোনিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমেরিকা খুব বেশি দেশকে তার টাস্ক ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে নি কারণ, কোনো দেশ ইসরাইলকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের যুদ্ধজাহাজের ক্ষতি করতে রাজি নয়। তিনি বলেন, আমেরিকা এখন উপায়ন্তর না দেখে বড় শিপিং কোম্পানিগুলোকে আবার লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চালাতে বাধ্য করছে যাতে ওইসব কোম্পানি-সংশ্লিষ্ট দেশগুলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সে যোগ দেয়।
ইয়েমেনের হুথি মুখপাত্র আরো বলেন, তার দেশ ধর্মীয় ও নৈতিক অবস্থান থেকে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই অবস্থান সকল আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনে সিদ্ধ। তিনি বলেন, এই কঠিন সিদ্ধান্তের পরিণতি কী হতে পারে তা আমাদের জানা আছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অর্থ হবে ফিলিস্তিনকে ইসরাইলি আগ্রাসনের সামনে একা ছেড়ে দেওয়া যা ধর্মীয় কারণেই সম্ভব নয়।
Leave a Reply