অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) হাবিবুর রহমান নামে একজন প্রবীণ রিকশাচালকের জন্য একটি বাসস্থান এবং তাকে একটি অটোরিকশা প্রদান করেছে।
হাবিবুর রহমান সম্পর্কে সিনিয়র সাংবাদিক জ. ই. মামুনের সাম্প্রতিক একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করে। জ. ই. মামুনের এই পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৫ এপ্রিল সাংবাদিক মামুন এক ফেসবুক পোস্টে ৭৭ বছর বয়সী হাবিবুর রহমানের দুর্বিসহ জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত লেখেন।
বাসসের সঙ্গে আলাপকালে হাবিবুর রহমান জানান, তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অন্তর্গত সোনাকান্দি গ্রামে। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৬৯ সালে ২২ বছর বয়সে ঢাকায় আসেন রিকশা চালাতে। আজও রিকশাই চালাচ্ছেন। চার মেয়ে, সবার বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে গরীব ঘরে, বাপকে দেখার অবস্থা তাদের নেই। কোনো ছেলে সন্তানও নেই যে তাকে দেখবে। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতে হচ্ছে তাকে।
হাবিবুর রহমানের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে বরিশালে তার বাপের বাড়িতে চলে গেছেন এবং এখন সেখানেই থাকেন।
দরিদ্র হাবিবুরকে অন্নসংস্থানের জন্য ঢাকায় রিকশা চালাতে হয়। দু’বার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থাও খুবই খারাপ। দুর্বল শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি ঠিকভাবে কথাও বলতে পারেন না। রাতে থাকেন রাজধানীর ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কের ফুটপাতে।
হাবিবুর রহমান আজ বাসসকে বলেন, ‘আমি এখন গৌরীপুরে আছি। মন্ত্রণালয় (পিএমও) আমাকে আমার গ্রামের বাড়িতে একটি ঘর তৈরির আশ্বাস দিয়েছে। আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য আমি তাদের কাছ থেকে একটি অটো (ব্যাটারি চালিত তিন চাকার গাড়ি) দাবি করেছি। তারা আমাকে একটি অটো দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে। ঘর ও অটো পেলে আমার জীবন বদলে যাবে।’
Leave a Reply