অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কক্সবাজার শহরে হামলা, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে প্রায় সাত মাস পর কক্সবাজারের সাবেক ছয়জন সংসদ সদস্যসহ (সাবেক এমপি) জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। দ্রুতবিচার আইনে দায়ের করা এই মামলায় ৫২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি ২৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার জেলা শাখার ছাত্র প্রতিনিধি এনামুল হক।
মামলায় আসামিদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৪ ( উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিনুল হক, তাঁর দুই ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও এথিন রাখাইন, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছুদ মিয়া, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের লালদীঘির পাড়, শহীদ মিনার, ঘুমগাছতলা, বিমানবন্দর সড়কসহ আশপাশের উপসড়কে আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে হামলা চালান। শহরের বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে অন্ধকারে এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল ছোড়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে মামলা করতে দেরি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, আসামিদের অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এরপরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।