অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কেম সোখা বিলুপ্ত কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির সাবেক নেতা ছিলেন। তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোখার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিদেশী শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হুন সেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী স্বৈরশাসকদের একজন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। জুলাইয়ে কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন। তিনি আবার ক্ষমতায় বসবেন বলে অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন।
অন্যরা বিশ্বাস করেন, তিনি তার পুত্র হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। ৬৯ বছর বয়সী কেম সোখা ২০১৭ সালে প্রথম গ্রেফতার হন। ২০১৩ সালের একটি ভিডিওর ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে।
সেই ভিডিওতে তিনি জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন রয়েছে তার। সোখা ও তার আইনজীবী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার কোনো ভিত্তি নেই।
কম্বোডিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি শুক্রবার (৩ মার্চ) জানিয়েছেন, এই মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। কেম সোখার আইনজীবী আং উদোম জানিয়েছেন, তার আইনি দল রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী ও পশ্চিমা সরকার কেম সোখার বিরুদ্ধে রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছে। কেম সোখা একজন সাবেক মানবাধিকার আইনজীবী ছিলেন। তিনি কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির প্রধান ছিলেন। গত নির্বাচনে হঠাৎ করেই তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।
গত মাসে হুন সেন কম্বোডিয়ার শেষ স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ‘ভয়েস অফ ডেমোক্রেসি’ বন্ধ করে দেন। বলা হয়, মিডিয়া একটি প্রতিবেদন ছাপিয়েছিল যেখানে তার তার ছেলেকে আক্রমণ করা হয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।