শেষ বিচার দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। একদিন আল্লাহ্র নির্দেশে এ মহাবিশ্বের ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এ দুর্ঘটনা ও পুনর্জীবনের সূচনাকেই কিয়ামত বলা হয়। কিয়ামত শব্দটি পরকালের অনন্ত জীবন বুঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হয়। ইসলামী শরীয়তের আকীদা অনুযায়ী হযরত ইসরাফিল (আঃ) -এর শিঙ্গার প্রথম ফুঁৎকারে সার্বিক কিয়ামত সংগঠিত হবে। তারপর চল্লিশ বছরের বিরতির পর সৃষ্ট জীবের পুনরুত্থান ঘটবে। এরপর নেক-বদের হিসাবÑনিকাশ হবে। পরিশেষে প্রত্যেককে ইহকালের কৃতকর্মের ফলস্বরুপ পুরস্কার বা শাস্তি ভোগ করার জন্য জান্নাত ও জাহান্নামে পাঠানো হবে।
কিয়ামত ও তার ভয়াবহ আলামত প্রসঙ্গে মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও হাদীসে বহু ইঙ্গিত ও সুস্পষ্ট বিবরণ রয়েছে।
১. নিশ্চয়ই মহান পরাক্রমশালী অল্লাহর একটি মোরগ আছে। তার পাখাগুলো যবরজদ (মূল্যবান পাথর), মুক্তা ও সূর্যকান্ত মণির দ্বারা খচিত। তার একটি পাখা পূর্বদিকে ও অপর পাখাটি পশ্চিম দিেেক ছড়িয়ে আছে। আর তার পাগুলো নি¤œতম ভূমিতে এবং তার মাথা আরশের নিচে বাঁকা হয়ে আছে। যখন প্রথম ভোর হয় তখন সে তার পাখাদ্বয় সঞ্চালিত করে এবং বলে, “পরম প্রশংসার যোগ্য পরম পবিত্র আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্। তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই।” ঠিক সে সময় সমুদয় মোরগ তাদের পাখা ঝাড়া দেয় এবং আওয়াজ করে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন আগমন করবে তখন আল্লাহ্ তাকে বলবেন, “তোমার পাখা সংকুচিত কর এবং আওয়াজ নিচু কর।” তখন পুথিবী ও আকাশের অধিবাসীগণ বুঝতে পারবে যে, কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে। আবু শায়খ আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
২. শেষ বিচার দিবসে মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ্ যমীন ও আকাশগুলোকে নিজের ডান হাতে গুটিয়ে নেবেন, অতঃপর বলবেন, “আমি প্রতাপশালী রাজাধিপতি। (দুনিয়ার) অত্যাচারীগণ কোথায়? অহংকারীগণ কোথায়? বর্ণকারী আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) ও ইবনে আমর (রা) থেকে আলোচ্য হাদীসখানা ইবনে মাজা , ইবনে জারীর ও তিরবাণী গ্রস্থে সন্নিবেশিত।
৩. শেষ বিচার দিবসে আল্লাহ্ তা‘আলা (ফেরেশতাগণকে) বলবেন, “আমার বান্দার আমলনামার দিকে তাকাও। অতঃপর যাকে তোমরা দেখ যে, সে আমার কাছে বেহেশ্ত চেয়েছিল, তাকে আমি বেহেশ্ত দিব, আর যে আমার নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চেয়েছিল আমি তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাব।” আবূ নুয়াইম আলোচ্য হাদীসখানা আনাস (রা)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৪. মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালক আল্লাহ বলেছেন, “বান্দার নেকী ও গুণাাহগুলো হাযির করা হবে। তারপর তার কতকগুলো পরস্পরের সাথে বিনিময় করা হবে। অতঃপর যদি একটি নেকী বাকি থাকে তবে আল্লাহ্ তার বলে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের রাস্তা প্রশস্ত করে দেবেন। হাকেম আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা)Ñএর সূত্র্রে বর্ণনা করেছেন।
৫. নিশ্চয়ই শেষ বিচার দিবসে এক ব্যক্তিকে টেনে হিচড়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। জাহান্নাম তাকে দেখে সংকুচিত হতে থাকবে এবং তার কিয়ংদংশ তার অপর অংশকে ধরে রাখেেব। তখন করুাময় আল্লাহ্ তাকে বলবেন, “তোমার কি হয়েছে?” জাহান্নাাম বলবে, “সে ইহকালে আমার শাস্তি থেকে সবসময় পানাহ চাইত। বরকতময় আল্লাহ্ তখন বলবেন, “আমার বান্দাকে ছেড়ে দাও।” দায়লামী আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৬. শেষ বিচারের দিন তোমাদেরকে নগ্নপদ, উলঙ্গ ও খৎনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে। আর সর্বপ্রথম যাকে জমা পরিধান করানো হবে, তিনি হলেন ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আঃ)। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, “আমার বন্ধু ইবরাহীমকে জামা পরিধান করাও যেন জনগণ তার মর্যাদা বুঝতে পারে।” অতঃপর অন্যান্য লোককে তাদের আমলের মান অনুসারে জামা পরিধান করানো হবে। আবূ নুয়াইম আলোচ্য হাদীসখানা তলক ইবেেন হাবীবের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৭. নিশ্চয়ই মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ , শেষ বিচার দিবসে সাতটি আকাশ এবং পৃথিবী নিজের (কুদরতী হাতের) মুঠোর মধ্যে ধারণ করে বলবেন “আমি আল্লাহ্, আমি পরম করুণাময়, আমি রাজ্যাধিপতি, আমি পরম পবিত্র, আমি শান্তি, আমি রক্ষক, আমি শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান, আমি গর্বেব অধিকারী। আমিই পৃথিবী সৃষ্টি করেছি যখন তা কিছুই ছিলনা, আমি পুনরায় তা ফিরিয়ে আনব। বাদশাহ্গণ কোথায় ? জালিমগণ কোথায়?” আবু শায়খ আলোচ্য হাতীসখানা বর্ণনা করেছেন।
৮. সর্বশেষ যে ব্যক্তি (জাহান্নামে প্রবেশ ব্যতীত) জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে পুলসিরাতের উপর পেটের উপর উপুড় হয়ে সেই বলিেেকর ন্যায় ছুটাছুটি করতে চেষ্টা করবে যাকে তার পিতা প্রহার করতে থাকলে পলায়নের চেষ্টা করে, কিন্তু দৌড়াতে অক্ষম। তারপর এই বান্দা বলবে, “হে আমার প্রভু ! আমাকে বেহেশ্তে পৌছে দাও আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও। তখন আল্লাহ্ তার প্রতি ওহি প্রেরণ করবেন, “হে আমার বান্দা! যদি আমি তোমাকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করি এবং তোমাকে বেহেশ্তে প্রবেশ করাই তবে তুমি কি আমার কাছে তোমার গুণাহ্গুলো স্বীকার করবে ?” বান্দা বলবে, “হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক! আর তোমার ইয্যত ও জালালের কসম। যদি তুমি আমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দাও তবে আমি নিশ্চয়ই আমার গুনাহ্সমূহ স্বীকার করব।” তারপর সে সেতু পার হয়ে যাবে। তখন সেই বান্দা মনে মনে বলবে, “যদি তাঁর নিকট আমি আমার অপরাধগুলো স্বীকার করি তবে নিশ্চয়ই তিনি আমাকে জাহান্নামে পাঠাবেন ” তখন আল্লাহ্ তার কাছে ওহী প্রেরণ করবেন, “হে আমার বান্দা! আমার কছে তোমার অপরাধগুলো স্বীকার কর, তাহলে আমি তোমাকে ঐগুলো ক্ষমা করে দেব এবং তোমার জান্নাতে প্রেরণ করব।” তখন বান্দা বলবে, “তোমার ইয্যত ও জালালের কসম আমি কখনও কোন পাপ করিনি।” তখন আল্লাহ্ তার প্রতি ওহী প্রেরণ করবেন, “হে আমার বান্দা! তোমার বিরুদ্ধে আমার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে।” তখন সেই বান্দা ডানে ও বামে ব্যাকুল দৃষ্টিতে তাকাবে, কিন্তু ইহকালে দেখেছে এরূপ তেমন কোন সাক্ষী সে দেখতে পাবে না । সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তোমার দলিল (সাক্ষী) দেখাও।” তখন আল্লাহ্ তার দেহের চামড়াকে তার (ধারণায়) যেসব পাপ ছোট, সেগুলোর কথা বলার শক্তি দান করবেন। সে বান্দা যখন এটা দেখবে, তখন বলবে, “হে আমার প্রতিপালক! তোমার ইয্যতের কসম, আমার নিকট কতগুলো গোপনে বড় বড় গুনাহ আছে।” তখন আল্লাহ্ তার কাছে ওহী প্রেরণ করবেন, “হে আমার বান্দা! আমি এ বিষয় তোমার অপেক্ষা বেশী জানি। যদি তুমি ঐগুলো আমার নিকট স্বীকার কর; তাহলে আমি তা ক্ষমা করে দেব এবং তোমাকে বেহেশ্তে প্রবেশ করাব।” অতঃপর বান্দা তার যাবতীয় অপরাধ স্বীকার করবে এবং তাকে বেহেশ্তে প্রবেশ করান হবে। এটা জান্নাতবাসীদের সর্বাপেক্ষা নি¤œপদস্থ ব্যক্তি, তাহলে তার উপরস্থ মানুষের অবস্থা কেমন হবে? হাকীম, তিরমিযী ও তিবরাণী আলোচ্য হাদীসখানা আবু উমামা (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৯. শেষ বিচার দিবসে পাগল, চৈতন্যলুপ্ত ও নাবালেগ অবস্থায় মৃত ব্যক্তিদেরকে হাযির করা হবে। পাগল বলবে,“ হে আমার প্রতিপালক ! যদি তুমি আমাকে জ্ঞান দিতে, তাহলে তুমি যাকে জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েছ সে তার জোরে আমার চেয়ে কেশি কল্যাণকামী হতে পারত না।” অচৈতন্য অবস্থায় মৃত ব্যক্তি বলবে, “হে আমার প্রতিপালক! যদি তোমার কাছে থেকে আমার চেতনা ফিরে আসত তবে তুমি যাদেরকে ৈ চতন্য দান করেছ তারা আমার অপেক্ষা বেশি নেক্কার হত না।” শৈশবে মৃত ব্যক্তি বলবে, “হে আমার প্রতিপালক! যদি তুমি আমাকে হায়াত দান করতে তবে তুমি যাকে হায়ত দিয়েছ সে তার আয়ুর বলে আমার অপেক্ষা বেশি পুণ্যবান হতো না।” তখন মহান প্রতিপালক বলবেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে একটি আদেশ করব। তোমরা কি আমার আদেশ পালন করবে? ” তারা বলবে হ্যাঁ, তোমার ইয্যতের কসম! ” তখন আল্লাহ্ বলবেন “যাও জাহান্নামে প্রবেশ কর।” যদি তারা এ আদেশ পেয়ে জাহান্নামে চলে যেত তবে জাহান্নাম তাদের কোন ক্ষতি করতে পারত না। কিন্তু তা না করাই জাহান্নাম থেকে অগ্নী স্ফুলিঙ্গ বের হতে থাকবে এবং তারা মনে করবে যে, নিশ্চয়ই এ অগ্নি আল্লাহর সমুদয় সৃষ্টি ধ্বংস করে দেবে। তারা দ্রæত ফিরে যাবে এবং বলবে, “হে প্রতিপালক! আমরা বের হয়ে এসেছি। তোমার ইয্যতের কসম! আমরা তাতে প্রবেশ করার ইচ্ছা করেছিলাম। কিন্তু যখন এটা থেকে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ বের হয়ে আমাদের উপরে আপতিত হলো তখন আমরা ধারণা করলাম যে, এ আগুন মহান ও মর্যাদাশীল আল্লাহ্র সৃষ্টির সব কিছুই ধ্বংস করে দিবে।” তারপর দ্বিতীয়বার অল্লাহ্ তাদেরকে সেই আদেশই দেবেন। তখনও তারা অনুরূপভাবে ফিরে আসবে এবং পূর্ববৎ উক্তি করবে। তখন আল্লাহ্পাক বলবেন, “তোমরা সৃষ্ট হবার পূর্বেই আমি অবগত ছিলাম যে, তোমরা কি আমল করবে, আমি আমার জানা অবস্থায়ই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। আর আমার জ্ঞান অনুযায়ীই তোমরা যথাস্থানে ফিরে আসবে। হে জাহান্নাম এদেরকে আঁকড়িয়ে ধর।” তখন জাহান্নাম তাদেরকে গ্রাস করবে। তিবরাণী আবূ নু‘আইম, হাকীম ও তিরমিযী আলোচ্য হাদীসখানা হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
১০. রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, তোমরা আমাকে এ প্রসঙ্গে কোন প্রশ্ন করোনাÑ কিসের দরুন আমি হেঁসেছি। শেষ বিচার দিবসে বান্দা ও তার প্রতিপালক আল্লাহর মধ্যে যে বাক-বিতন্ডা হবে তাতে আমি আশ্চর্যান্বিত হয়ে গেছি। বান্দা বলবে, “হে আমার প্রতিপালক (আল্লাহ)! তুমি কি আমাকে ওয়াদা দাওনি যে, তুমি আমার ওপর জুলুম করবে না ?” আল্লাহ্ বলবেন, “হ্যাঁ”, বান্দা বলবে, “তবে আমি আমার নিজের সাক্ষ্য ছাড়া অন্য কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য মেনে নেব না।” তখন আল্লাহ্ বলবেন, “আমি নিজেও কি যথেষ্ট সাক্ষী নই ? অথবা মর্যাদাশীল লেখক ফেরেশতাহণও সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট নয় ?” বান্দা তা অনেকবার প্রত্যাখ্যান করে দেবে। তখন তার মুখে সীল মেরে দেয়া হবে এবং তার অঙ্গÑপ্রত্যঙ্গ বর্ণনা করতে থাকেেব, দুনিয়ায় সে কি করেছিল? তখন বান্দা (মনে মনে) বলবে, “তোমরা দূর হয়ে যাও, তোমরা ধ্বংস হও, তোমাদেরই জন্য আমি যুদ্ধ করতেছিলাম।” হাকেম আলোচ্য হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন ।
১১. শেষ বিচার দিবসে আল্লাহ্ মু‘মিন ব্যক্তিকে আহবান করবেন। তাকে নিজের সামনে দাঁড় করাবেন ও বলবেন, “হে আমার বান্দা! আমাকে আহবানের জন্য তোমাকে আদেশ করেছিলাম, আর আমি তোমার সাথে ওয়াদা করেছিলাম যে, আমি তোমার আহবানে সাড়া দেব। অতএব, তুমি কি আমাকে ডেকেছিলে?” সে বলবে, “হ্যাঁ, হে প্রতিপালক!” আল্লাহ্ বলবেন, “নিশ্চয়ই তুমি আমার কাছে এমন দোয়া করনি, যা আমি কবুল করিনি। তুমি কি ঐ ঐ দিনে, যখন তোমার ওপর দুঃখ এসছিল, আমাকে আহবান করনি যেন আমি তা দূর করে দেই? আমি তা দূর করে দিয়েছিলাম।” সে বলবে, “হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক!” আল্লাহ্ বলবেন, “আমি তা তোমার জন্য ইহজগতে ত্বরান্বিত করেছিলাম। আর ঐ দিন যখন তোমার ওপর বিপদ এসেছিল তখন আমাকে কি ডাকনি যেন আমি তা দূর করে দেই? অথচ তুমি সে বিপদ থেকে নাজাতের কোন উপায় দেখতে পাওনি।” সে বলবে, “হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক!” তখন আল্লাহ্ বলবেন, নিশ্চয়ই আমি তোমার জন্য জান্নাতে জমা করে রেখেছি। আর অমুক অমুক দিন তুমি আমার সামনে এক প্রয়োজন উপস্থাপন করেছিলে যেন আমি তা তোমার পূর্ণ করে দেই। কিন্তু তুমি তা পূর্ণতা দেখনি।” তখন সে বলবে, “হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক!” তখন আল্লাহ্ বলবেন, “আমি তা তোমার জন্য জান্নাতে জমা করে রেখেছি।” অতএব, মু‘মিন বান্দা আল্লাহ্র নিকট কোন দোয়া করলে তা অচিরেই তার জন্য ইহজগতে পূর্ণ করে দেওয়া হয়, অথবা তা তার জন্য আখিরাতের খাতে জমা করে রাখা হয়। মু‘মিন তখন আক্ষেপ করে বলেেব, “আহা যদি ইহজগেেত তার কোন দোয়া তাড়াতাড়ি পূর্ণ না হত!” হাকেম আলোচ্য হাদীসখানা হযরত জাবির (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
Leave a Reply