November 12, 2025, 8:12 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন আগামী বছর হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিল দ. কোরিয়া গত অক্টোবরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাকফুল- আংটি-বদনা ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শ্রাবণী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার চাঁদপুরে পাঁচটি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের প্রযুক্তি প্রধানের ‘বিশ্বব্যাপী যৌথ উদ্যোগের’ তাগিদ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত অগ্রসর হওয়ায় এর নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী একটি সমন্বিত কাঠামো তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের শীর্ষ প্রযুক্তি কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ভিন্ন ভিন্ন ও খণ্ডিত পন্থা গ্রহণ করলে ঝুঁকি এবং বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।

জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) প্রধান ডরিন বগদান-মার্টিন জেনেভায় এএফপিকে বলেন, তিনি আশাবাদী যে এআই ‘মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে’।

তবে এই প্রযুক্তিকে ঘিরে ব্যাপক চাকরি হারানোর আশঙ্কা, ভুয়া ভিডিও (ডিপফেইক), ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা এবং সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির মতো উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, সঠিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গঠনে এখনই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

বগদান-মার্টিন বলেন, ‘একটি সঠিক বৈশ্বিক কাঠামো তৈরি করা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি এই মন্তব্য করেন এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আগ্রাসী, কম-বিধিনিষেধ নির্ভর এআই কৌশল ঘোষণা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো চীনের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রাখা।

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রকাশিত ৯০টির বেশি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এআই উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।

এই ব্যাপারে মন্তব্য চাইলে বগদান-মার্টিন সরাসরি সমালোচনা না করে বলেন, তিনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ‘হজম’ করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, ‘এখন বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন পথে এগোচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক ধরনের পন্থা আছে, চীনের আছে ভিন্ন পথ, এখন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের কৌশল দেখাচ্ছে।’

‘এখন সময় এসেছে এসব পথ যেন একে অপরের সঙ্গে সংলাপে বসে,’ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এখনো বিশ্বজুড়ে ৮৫% দেশের এআই নিয়ে কোনো জাতীয় নীতি বা কৌশলই নেই।

বর্তমানে যেসব দেশ এআই নীতি গ্রহণ করেছে, তাদের প্রায় সবাই উদ্ভাবন, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনিয়োগে মনোযোগী—তবে কতটা বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে, এই প্রশ্নটি এখনো খোলামেলা আলোচনা দাবি করে।

বগদান-মার্টিন বলেন, এআইয়ের সম্ভাবনা অভাবনীয়- শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি খাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। তবে এর সুফল যেন সবার কাছে পৌঁছে তা নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি সতর্ক করেন, যদি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা না হয়, তবে এআই ‘বৈষম্য বৃদ্ধির’ প্রতীক হয়ে দাঁড়াতে পারে।

‘বিশ্বে এখনো ২.৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না, মানে তারা এআই থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত,’ বলেন তিনি।

আইটিইউর ১৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাসচিব বগদান-মার্টিন বলেন, প্রযুক্তি জগতে নারীদের সম্পৃক্ততা বিশেষভাবে এআই খাতে প্রয়োজন।

‘আমাদের এখনো যথেষ্ট নারী অংশগ্রহণ নেইৃ বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রে,’ বলেন তিনি।

চার সন্তানের জননী এই ৫৯ বছর বয়সী কর্মকর্তা বলেন, এই পদে প্রথম নারী হিসেবে কাজ করতে পারা গর্বের। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন, তার ওপর কেবল দায়িত্ব নয়, ‘অতিরিক্ত সফলতা’ দেখানোর চাপও আছে।

বর্তমান মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথাও জানান বগদান-মার্টিন। ট্রাম্প প্রশাসনও তাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এখনো অনেক কাজ বাকি।’

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page