অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় তার বাগদত্তার দায়ের করা একটি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে দায়মুক্তি পেয়েছেন সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ ও ডি ফ্যাক্টো নেতা মোহাম্মদ বিন সালমান। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয়েছিল এই সাংবাদিককে। তিনি ছিলেন সৌদি শাসকদের একজন কট্টর সমালোচক। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলে আসছিল, এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
কিন্তু আদালতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মোহাম্মদ বিন সালমানের দায়মুক্তি রয়েছে। কারণ তিনি এখন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী।
আদালতের এই রায়ের কথা যুক্ত করে খাশোগির সাবেক বাগদত্তা হাতিস সেনগিজ টুইটারে লিখেছেন, আজ আবার জামালের মৃত্যু হলো।
তিনি ও খাশোগির প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থা ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ খাশোগির হত্যাকারী হিসেবে সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ দাবি করে আসছেন।
আদালতে তাদের দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ও তার কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসরত সাংবাদিককে অপহরণ, মাদক সেবন ও নির্যাতনের পর হত্যা করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, আজ এটি দায়মুক্তি। সবকিছু দায়মুক্তিতে গিয়ে দাঁড়ায়।
২০১৭ সালে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ যুবরাজ হিসেবে প্রিন্স মোহাম্মদের নাম ঘোষণা করেন। ওই সময় ৩৭ বছর বয়সী যুবরাজ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। খাশোগি হত্যায় নিজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী বলেছেন, একটি বিদেশি সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সৌদি যুবরাজ মার্কিন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া থেকে দায়মুক্ত। আন্তর্জাতিক আইনের রীতিতে রাষ্ট্রপ্রধানের এই দায়মুক্তির ধারা বহুল প্রচলিত।
তবে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করছে যে এই দায়মুক্তির ফলে সৌদি যুবরাজ যে নির্দোষ তা প্রমাণিত হচ্ছে না।
Leave a Reply