অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের গণহত্যায় শহীদ ফিলিস্তিনিদের দাফন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। গতকালের আগ্রাসনে তাৎক্ষণিকভাবে নয় ফিলিস্তিনি শহীদ এবং অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে আরো এক ফিলিস্তিনি মারা যান বলে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে।
শোকাচ্ছন্ন ফিলিস্তিনিরা শহীদ ফিলিস্তিনিদের লাশ কাঁধে করে জেনিন শহরের সরকারি হাসপাতালের সামনে যান। তার আগে তারা জেনিন শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া লোকজন ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে মিছিল করেন এবং ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে নানা স্লোগান দেন।
এর আগে ইহুদিবাদী সেনারা অস্ত্র সজ্জিত অন্তত ৭০টি গাড়ি নিয়ে জেনিন শহরে প্রবেশ করে। এসময় জেনিন শরণার্থী শিবিরের লোকজন ইসরাইলি সেনাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় বর্বর সেনারা। এতে অন্তত নয় ফিলিস্তিনি শহীদ হন। এর মধ্যে একজন বয়স্ক নারী রয়েছেন।
জেনিনে ইসরাইলি বর্বরতা
এদিকে, গতকালের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আবু আরুরি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, “হামাসের জবাব খুব বেশি দেরি হবে না। আমাদের জাতির ইচ্ছা শক্তি দখলদার সরকারের চেয়ে শক্তিশালী। ইহুদিবাদীদের এই অপরাধযজ্ঞ ফিলিস্তিনিদের মনোবল এবং প্রতিশ্রুতিকে আরো দৃঢ় করবে।”
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখালা বলেছেন, “পশ্চিম তীর এবং জেনিন শহরে ইহুদিবাদী সেনাদের বর্বর অপরাধযজ্ঞ জিহাদ আন্দোলনের প্রতিরোধকে থামিয়ে দিতে পারবে না বরং আমাদের জাতির সাহসী যোদ্ধারা ময়দানেই থাকবে। তারা ইহুদিবাদী শত্রুদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে।”
Leave a Reply