শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে গাইবান্ধা রেল স্টেশনের অদূরে (দক্ষিণে) রেললাইনের স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শাকিল খান গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের বাচ্চু খানের ছেলে।
ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার এক ঘণ্টা আগে শনিবার বিকালে শাকিল নিজ ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে দাম্পত্য কলহ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাকে হুমকি-ধমকি ও মারধরের অভিযোগ করেন।
ফেসবুক লাইভের ১৮ সেকেন্ড এর ভিডিওতে দেখা যায়, শুরুতে সালাম জানিয়ে শাকিল খান তার গ্রামের নাম ও বাবা-মায়ের পরিচয় জানান। এরপর কান্নাকাটি করে এক মাস আগে বিয়ে করার কথা জানান। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল বলেন তিনি উল্লেখ করেন। এরপর লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।
শাকিলের বাবার অভিযোগ, দাম্পত্য কলহ নিয়ে শাকিলের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজি হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার আগে স্টেডিয়াম এলাকায় রেললাইনে ঘোরাঘুরি করেন শাকিল। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয় সে।
রেলওয়ে পুলিশের গাইবান্ধা ফাঁড়ির ইনচার্জ সেতাফুর রহমান বলেন, ‘ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর ফাঁড়িতে রাখা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন।’
তিনি আরও জানান, রবিবার সকালে মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।








