অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে দত্তক নেয়া আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পালিত মায়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব আরিচপুর জামাই বাজার এলাকা থেকে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় পালিত মা শাহিনুর বেগমকে (৪০) আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মামা আল- আমিন বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে ওই মামলায় বুধবার দুপুরে শাহিনুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেপ্তার শাহিনুর বেগম জামাই বাজার এলাকার মাহবুবুর রহমান লিটনের স্ত্রী। নির্যাতিতা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় চার বছর আগে ওই মেয়ে শিশুটিকে দত্তক নেন শাহিনুর বেগম-লিটন দম্পতি। কয়েক বছর বেশ আদর যত্নে লালিত-পালিত হলেও গত কয়েক মাস যাবত শিশুটিকে মারধর করতেন পালিত মা শাহিনুর। সোমবার রাতে ফের মারধর ও কাঁচের টুকরো দিয়ে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন শাহিনুর। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মঙ্গলবার মারধরের খবর পেয়ে শিশুটিকে দেখতে আসেন তার নানি ও মামা। পরে শারিরীক অবস্থা দেখে থানায় খবর দেন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মামুনুর রশিদ বলেন, সোমবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুটির কোমরসহ বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
নির্যাতিতা শিশুর মামা আল আমিন বলেন, শাহিনুর ও তার স্বামী লিটন চার বছর আগে আমার ভাগ্নিকে দত্তক নেয়। গত কয়েক মাস যাবত ভাগ্নিকে নির্যাতন করছিল। মঙ্গলবার মারধরের খবর পেয়ে এসে দেখি সে ভীষণ অসুস্থ। বিষয়টি আমরা থানায় অবগত করে মামলা করেছি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দত্তক নেয়া শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগে পালিত মায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় শাহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।