অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে ইমাম হোসেন টুটুল নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিন্ন ওই প্রশ্নপত্রে উপজেলার ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদারের সই করা এক অফিস আদেশে অভিযুক্ত ইমাম হোসেন টুটুলকে বরখাস্ত করার বিষয়টি জানানো হয়।
তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রিনা বেগম ও কুমকুম বেগম নামে দুই অভিভাবকের অভিযোগ, গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে চারুকারু পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষক ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তার ফোন নম্বর ধরিয়ে দেন এবং অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন।
আমরা কয়েকজন অভিভাবক ফোন করলে ইমাম হোসেন ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগে গণিত প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে বলে প্রস্তাব দেন।
অভিভাবকদের ভাষ্য, আমরা টাকা দিলে পরীক্ষার আগের দিন (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণিত প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন তিনি। কিন্তু এ সংক্রান্ত কয়েকটি কলরেকর্ড টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিই আমরা।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, আমরা ২৫ নভেম্বর রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাই। রাতেই ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির গণিত বিষয়ে প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, ২৬ নভেম্বর নতুন প্রশ্নপত্রে ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ইমাম হোসেন টুটুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply