বশির আল-মামুন চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীতে একটি প্রাইভেট কার থামিয়ে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদল গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই কার আরোহী দুই জন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন। রোববার (৩০ মার্চ) ভোররাত পৌনে ৩ টায় নগরীর চকবাজার থানাধীন সিরাজদ্দৌলা সড়েকর চন্দনপুরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন জেলার হাটহাজারী উপজেলার বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ, যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে। আহতরা হলেন রবিন ও হৃদয়।
চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, বাকলিয়া রাজাখালী ব্রিজ থেকে প্রাইভেট কারটিকে ধাওয়া করে কয়েকটি মোটরসাইকেল। পরে চন্দনপুরা-বাকলিয়া এক্সেস রোডের চকবাজার গুলজার বেগম স্কুল এলাকায় সেটি থামিয়ে গুলি চালানো হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জানান, চট্টমেট্রো গ ১২-৯০৬৮ নম্বরের প্রাইভেট কারটিকে তিনটি মোটর সাইকেল ধাওয়া করে চন্দনপুরার দিকে নিয়ে আসে। এরপর এক্সেস রোডের মুখে গাড়িটি থামিয়ে পেছন ও পাশ থেকে গুলি চালানো হয়।
রিকশাচালকের ভাষ্যমতে, গুলির সময় গাড়িতে থাকা লোকজন ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে সাহায্যের আকুতি জানান। ঘটনার সময় এক্সেস রোডের মুখে একটি পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও গুলির শব্দে দ্রুত চলে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রাইভেট কারটির পেছনের কাচে গুলির চিহ্ন এবং চালকের আসন ও পাশের জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদ ও বায়েজিদ এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলার অনুসারীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। ছোট সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বালুর মহালকে কেন্দ্র করে সারোয়ার বাবলার সঙ্গে খোরশেদ, রায়হান ও হাসানের গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল বাবলা গ্রুপ ৬ জন নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে ছিল, আর খোরশেদ গ্রুপ চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এতে পারস্পরিক গোলাগুলি হয়, এবং তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চন্দনপুরা এলাকায় পুলিশের টহল গাড়ি দেখে সারোয়ার গ্রুপের একজন সাহায্য চাইতে যান। এর মধ্যে মোটরসাইকেলে এসে অন্য গ্রুপ প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয় এবং গুলিবিদ্ধ হন আরও দুজন। ইমন নামে একজন পুলিশ হেফাজতে আছে। সারোয়ার বাবলা পলাতক।’