অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্পত্তি ও অর্থের লোভে মাকে গুলি করে খুন ও পরবর্তীতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সেই পুত্রকে চট্টগ্রামের পটিয়া থানা পুলিশ তিনদিনের রিমান্ডে এনেছে।
শনিবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঘাতকপুত্র মাঈনুদ্দিন মঈনুকে পটিয়া থানা পুলিশ রিমান্ডে আনেন।
এর আগে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে শুনানি শেষে তা তিন দিনের মঞ্জুর করে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির প্রাক্তন আহবায়ক শামসুল আলম মাষ্টার মারা যাওয়ার পর ব্যাংকের টাকা উত্তোলন বিষয়ে মা ও বোনের সঙ্গে মাঈনুর বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে গত বছরের ১৬ আগস্ট মাঈনু তার মা জেসমিন আকতারকে গুলি করে খুন করে।
এ ঘটনায় মাঈনুর বোন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পর পটিয়া থানা পুলিশ শামসুল আলম মাষ্টারের পটিয়া বাসস্টেশনস্থ কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি মাঈনু নকল বলে দাবি করায় পুলিশ এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠান।
সম্প্রতি এটি প্রজেটিভ রির্পোট এলে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনোয়ার হোসাইন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মাঈনুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ মাঈনুকে তিনদিনের রিমান্ডে এনেছে।
শামসুল আলম মাস্টারের মৃত্যুর পর লাইন্সেধারী একটি শর্টগানের এখনো হদিস মিলছে না।
পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুলি করে মা খুন ও পরবর্তীতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পটিয়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় মাঈনুকে তিন দিনের রিমান্ডে এনেছেন।