অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বেলা বেড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সূর্যের প্রখরতা। দাবদাহের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এখন মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ থেকে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
এদিকে সূর্যের প্রখর তাপে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। রিকশা-ভ্যানচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে গা এলিয়ে দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন। এছাড়া গরমে সদর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনরা কষ্টে আছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদরের মাখালডাঙ্গা গ্রামের শ্রমিক আব্দুল আলিম বলেন, আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করি। তবে আজকে রোদের তেজের কারণে গরমে কাজ করতে পারছি না। গত কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড গরম পড়লেও আজকে গরমে কাজ করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এমন কয়েকদিন হলে কাজে আসা সম্ভব না।
বেসরকারি চাকরিজীবী ইয়ামিন বলেন, মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন স্থানে মার্কেটিংয়ের কাজ করি। মোটরসাইকেল চালালে বাতাসে স্বস্তি লাগলেও আজ রোদের প্রখরতার কারণে মনে হচ্ছে গরম হাওয়ায় পুড়ে যাচ্ছে শরীর। রোজা আছি। এই গরমে দুপুর ১২টার আগেই গলা-বুক যেন শুকিয়ে আসছে।
কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ধানে পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। রোদের তাপে মাঠে টেকাই যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পরপর গাছের ছাঁয়ার নিচে বসতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ধারাবাহিকভাবে টানা ১১ দিন চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ চলমান ছিল। আজ থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। মূলত ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হলে সেটাকে তীব্র তাপ প্রবাহ ধরা হয়।
Leave a Reply