অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা জেলায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক) শারমিন আক্তার।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিনের প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন ছিলেন স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাকসুরা জান্নাত। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কম্পিউটার অপারেটরবৃন্দ অংশ নেন।
উদ্বোধনী দিনে গ্রাম আদালত, আদালত, বিচার ব্যবস্থা, গ্রাম আদালত ও সালিসির মধ্যকার পার্থক্য, গ্রাম আদালতের ভিত্তি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, গ্রাম আদালতের ক্ষমতাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে শারমিন আক্তার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে বর্তমান সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছে।
ঘটনা সংগঠিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফৌজদারি মামলা, ৬০ দিনের মধ্যে দেওয়ানী মামলার আবেদন গ্রহন করতে হবে। আবেদন ফি যথাক্রমে ১০ ও ২০ টাকা। আদালত ৩ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করলে আরও এক মাস সময় পাবেন। বিচারিক প্যানেলে মোট সদস্য থাকবে ৫ জন। এর মধ্যে বাদী পক্ষে ২ জন, বিবাদী পক্ষে ২ জন ও একজন চেয়ারম্যান। এই আদালত সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে।
Leave a Reply